পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অধ য়। ] ইরেজ আমলের প্রথম শতাব্দী। כר পাইলেও কথা ভদ্ধ করিতে পারেন না বলিয়া লিও ইংলিস সাহেব তাঁহাদের কথা অগ্রাহ করিলেন। গৌরীপুরের সহিত সমস্ত ঠিক হইয়া উঠিল এবং বিগত ১৯৩২ খৃষ্টাব্দের ২৯শে মে তারিখে ষ্টেট বিক্রীত হওয়ায় ১৭৮ বৎসরের কোম্পানী ভাঙ্গিয় গেল। এখন এই ষ্টেটের মালীক গৌরীপুরের জমিদার পুণ্যশ্লোক ঐযুক্ত ব্রজেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী মহোদয়। বর্তমানে তাহার অধীনে কারবার ও জমিদারি উভয়েরই উন্নতি লক্ষিত হইতেছে। পঞ্চম অধ্যায়—ইংরেজ আমলের প্রথম শতাব্দী ৷ শ্ৰীহট্ট জিলার অধিবাসিগণের অবস্থা পূৰ্ব্বে অপেক্ষাকৃত উন্নত ছিল, তাহারা ক্রমাগত দৈন্যদশায় পতিত হইতেছে। ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের দেওয়ানী গ্রহণের সময় ইতে শত বৎসর পর্য্যন্ত অর্থাৎ বর্তমান কাল হইতে প্রায় পঞ্চাশৎ বর্ষ পূৰ্ব্বকার অবস্থার সহিত বৰ্ত্তমান কালের আচার ব্যবহারের অনেক প্রভেদ ও বৈষম্য দৃষ্ট হয়। পূৰ্ব্বে যেমন ব্যবসায়াদি জাতিগত ছিল, এখন আর ব্যবসায় । তদ্রুপ নাই ; এই সময় মধ্যেই ধীরে ধীরে তাহ পরিবর্তিত হইয়া বৰ্ত্তমান অবস্থায় উপনীত হইয়াছে। তখনও ব্রাহ্মণ গুরুত, রাজপণ্ডিতি ও যাজনাদি ত্যাগ করিয়া অধিক মাত্রায় চাকুরী ও দোকানদারী প্রভৃতি কায়স্থ ও বৈশ্যোচিত বৃত্তিনিতান্ত অভাবে না পড়িলে গ্রহণ করিতেন ন। কেহ কেহ দেবত্র ব্রহ্মত্র শাসনে নিযুক্ত থাকিলেও গুরুতাদিই মূল ব্যবসায় ছিল, ; তাহারা সামাজিক বিষয়ে “পাতি” বা ব্যবস্থা পত্র দিতেন, ৰাবস্থাদানে অনেক স্থলেই অর্থ মিলিত । চিকিৎসা প্রধানতঃ বৈদ্যেরই ব্যবসায় ছিল, ইহার কবিরাজ নামে খ্যাত হইতেন। সমাজে কবিরাজদের যথেষ্ঠ সম্মান ছিল। রোগী আরোগ্য হইলে কবিরাজ আরোগ্য স্নান দিয়া নববস্ত্র, কলসী বা পারিতোষিক লইতেন ; কবিরাজকে সকলেই সন্ত্রম করিত। শ্রীহটে বৈদ্য-কায়স্থ ভেদ না থাকায় কবিরাজের ব্যবসায় প্রায়শঃ ব্রাহ্মণগণেরাই করিতেন ।