পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার—কাছাড়ের কথা । 'se 'y. বীরদপ নারায়ণের রাজত্ব কালে ইহা খোদিত হয় বলিয়া লিখিত আছে। ১৬৭১ খৃষ্টাব্দের পর তিনি জীবিত ছিলেন কি না, জানা যায় না। শত্রুদমনের পর গরুড়ধ্বজ নারায়ণ এবং তাহার পর মকরধবজ রাজা হন । কথিত আছে যে, ইহর্ণর সময়ে ব্রহ্মা সৈন্য মণিপুর আক্রমণ করিলে, ইনিই স্বকীয় সৈন্য সাহায্যে ব্রহ্মসৈন্য বিতাড়িত করেন । তৎপরবর্তী রাজ উদয়াদিত্য । ইহাঁরা গড়ে দশ বৎসর করিয়া রাজত্ব করিয়াছিলেন। উদয়াদিত্যের পরে ১৭১৬ খৃষ্টাব্দে তাম্ৰধ্বজ সিংহাসনারোহন করেন। কথিত আছে, তিনি কোচ বংশীয় জনৈক সেনাপতির কাঞ্চন নারী কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিলেন । ইহার সময়ে আহোম-পতি রুদ্রসিংহ সপ্ততি সহস্র সৈন্ত সহ কাছাড় আক্রমণ করেন ও মাইবঙ্গ অধিকার করেন ; তাম্ৰধ্বজ পলায়ন পুৰ্ব্বক খাসপুর (ব্রহ্মপুর ) + গমন করত: তথায় অবস্থিতি করেন। ইহার বিস্তৃত বিবরণ ২য় ভাগ ৪র্থ খণ্ডের দ্বিতীয় অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে। তাম্ৰধ্বজের পুত্র সুরদর্প নারায়ণ । জয়ন্তীয়ার অধিপতি জয়নারায়ণ সহ ইহাঁর বিবাধ বধিয়াছিল, সে কাহিণীও ইতিপূৰ্ব্বে চতুর্থ খণ্ডের তৃতীয় অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে। ইহণর পরবর্তী রাজা হরিশ্চন্দ্র নারায়ণ ; বংশাবলীতে ইনিই সম্ভবতঃ ধৰ্ম্মধ্বজ নামে কথিত হইয়াছেন। মাইবঙ্গের গিরিগাত্রোৎকীর্ণ একটী মন্দিরের • উক্ত ঐতিহাসিক শঙ্খের প্রতিকৃতি এস্থলে প্রদত্ত হইল। + কাছাড়ের শ্ৰীযুত মণি রাম বৰ্ম্ম মহাশয় আমাদিগকে লিখিয়াছেন ষে বহু পূর্বে জনৈক কাছাড়া নৃপতির সহিত তদীয় কনিষ্ঠের বিবাদ উপস্থিত হইলে তিনি ডিমাপুর হইতে ত্রিপুরাভিমুখে যাত্রা কালীন অনুসঙ্গি কয়েকটি কোচ একস্থানে উপনিবেশ করে, তাহাদের নামানুসারে সে স্থান কোচপুর নামে খ্যাত হয়, পরে কোচপুর হইতে খাসপুর নাম দাড়াইয়াছে। তামুখুজের কোচ জাতীয়া রাণী গ্রহণ ও খাসপুর পলায়ন, পরস্পর সম্বন্ধ স্বচক ৰলিয়া এই কথাটি যথার্থ বলিয়াই অনুমিত হয়। খাসপুর রাজবাটীর সিংহদ্বারের চিত্র এই ৷ স্থানেই সন্নিবেশিত্ত হইল।