পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিল্পোৎপন্ন দ্রব্য । ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । &○ গুক্তি ও মুক্তা—ঘুঙ্গিয়া জুরির হাওরে উৎকৃষ্ট শুক্তি মিলে। তরফের করঙ্গী নামক ক্ষুদ্র নদীর ঝিল্লুক হইতে মুক্ত পাওয়া যাইত বলিয়া কথিত আছে । প্রস্তর ও মাটী – শ্ৰীহট্ট জিলার নানাস্থানে বহু পরিমাণে প্রস্তর প্রাপ্ত হওয়া যায়, ঐ প্রস্তর সমূহ ইমারত ও ঘাট ইত্যাদি প্রস্তুত কাৰ্য্যে ব্যবহৃত হয়। জয়ন্তীয়া পাহাড়ে প্রাপ্ত প্রস্তর রাশিই অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট । ‘ঢেউমাটী’ নামে কথিত লৌহমিশ্র রঞ্জিত মৃত্তিকা সৰ্ব্বত্রই প্রাপ্ত হওয়া যায়। দিনারপুরের ঢেউমাট উৎকৃষ্ট । পঞ্চম অধ্যায়—বাণিজ্য । শ্ৰীহট্টের বাণিজ্য নিতান্ত অবহেলনীয় নহে। প্রায় অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূৰ্ব্বে পাশ্চাত্য ৰণিকগণ এক বৃহৎ কোম্পানী গঠিত করিয়া চীন যাপান প্রভৃতি দেশের সহিত বাণিজ্য করিতে মনস্থ করেন, তাহাদের সঙ্কল্প কাৰ্য্যে পরিণত হইলে, এই শ্ৰীহট্ট নগরীই সেই প্রাচ্য বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থান হইত, বণিক সমিতির মন্তব্যে ইহা অবগত হওয়া যায়।* তখনও ভারতবর্ষের পূর্বপ্রান্তে শ্ৰীহট্টই সৰ্ব্বপ্রধান বাণিজ্য স্থান ছিল । নদীতীরবর্তী কয়েকটি প্রধান গঞ্জ বা বাজারই শ্রীহট্টের প্রধান বাণিজ্য স্থান। শ্ৰীহট্ট ( কাজির বাজার ও বন্দর বাজার), বালাগঞ্জ, করিমগঞ্জ, মৌলবীবাজার, নবিগঞ্জ, সমসের গঞ্জ, হবিগঞ্জ, আজমীরগঞ্জ ও বাণিয়াচঙ্গ প্রধান বাণিজ্য স্থান । এতদ্ব্যতীত বাণিজ্য স্থান ।

  • “That the market place for this new trade would be at Sylhet,

consequently in our own country:”fe. The Journal of the Asiatic Society of Bengal—1847 sept