পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ֆ օՆ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র মণিপুর রাজবংশে বিবাহ করেন ও শ্বশুরের উদাহরণে বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন। অনেকের মতে ইহাই কাছাড় রাজবংশের হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রহণ ; বস্তুতঃ তাহা ভ্রান্ত ধারণা। মহারাজ স্বরদর্প নারায়ণ প্রথম হিন্দু ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন ; তদঙ্কিত শঙ্খ-চিত্রই তাহার প্রমাণ । কৃষ্ণচন্দ্রের বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম গ্রহণের পরেই খাসপুরে বিষ্ণু মন্দির, দ্বাদশচক্রের মন্দির প্রভৃতি প্রতিষ্ঠিত হয় ; বিষ্ণু মন্দিরের চিত্র এস্থলে প্রদত্ত হইল। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সময় অগি মোহম্মদ রেজা নামক জনৈক মোগল কর্তৃক খাসপুর আক্রান্ত হয়, কৃষ্ণচন্দ্র গোয়াবাড়ী নামক স্থানে পলায়ন করেন। বিজয়োণুত্ত মোগল খাসপুর অধিকার করিয়া বদরপুর আক্রমণ করে, সে বৃত্তান্ত ইতিপূৰ্ব্বে * বর্ণনা করা গিয়াছে। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সময়েই ১৮৭ খৃষ্টাবে কাছাড় ও প্ৰহট্টের সীমা লইয়া গোলযোগ উপস্থিত হয়। সীমা নিৰ্দ্ধারণ জন্য গবর্ণমেণ্ট পক্ষে শ্রীহট্টের এক অমীন গমন করেন ও সীমা স্থলে এক খালা খনন করা হয়। রাজ পক্ষীয় লোকেরা পরে সীমানাস্থিত এই খালা ভরাইয়া দেয় ও শস্য কাটিয়া লইয়া যায়। চাপঘাট পরগণায়ও এইরূপ ঘটনা ঘটে। এই সকল বিরক্তিকর ব্যাপার নিবারণের জন্ত বদরপুরের দুর্গাধ্যক্ষ তীব্রভাবে আদিষ্ট হন। পরে অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, বিবাদীয় ভূমির অধিকাংশ যথার্থই কাছাড় রাজ্যের অন্তর্গত । * সুতরাং গবর্ণমেণ্ট আর অগ্রসর হন নাই । (মণিপুর । ) ইহার পর নানাকারণে মণিপুরের সহিত কাছাড়ের বিশেষ সম্বন্ধ রাজধানী ও ংঘটিত হয়। এ স্থলে তাই মণিপুরের কথা একটু রাজবংশ । বলা প্রয়োজন। কাছাড়ের পূর্ব সীমায় মণিপুর রাজ্য অবস্থিত, ইহার উত্তরে নাগা পাহাড়, দক্ষিণে লুশাই পাহাড় ও ব্রহ্ম

  • শ্ৰীহটের ইতিবৃত্ত ২য় ভাগ ২য় খণ্ড ৩য় অধ্যায় দেখ। f Allen's Assam District Gaxetteers WOL. II, (Sylhet), P. 38.