পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার—কাছাড়ের কথা । "లి মহারাজ গোবিন্দ চন্দ্র এই সময় স্বনামাঙ্কিত মুদ্রাও প্রচারিত করিয়া ছিলেন, এই সময়কার একটা কাছাড়ী রৌপ্য মুদ্র প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে ; ইহার একদিকে “ গোবিন্দ চন্দ্র রাজেন্দ্র ” বাহাদুরের নাম ও অপরদিকে “হেড়িম্ব পুরধীশ শ্রীরণচণ্ডী পদাজুদ্র ” ইতি বাক্য অঙ্কিত । গোবিন্দ চন্দ্র খাসপুরে প্রসিদ্ধ “ স্নান মন্দির” প্রস্তুত করিয়াছিলেন, ইহা অদ্যপি অভগ্নাবস্থায় আছে। এস্থলে উক্ত স্নান মন্দির এবং তৎপ্রচারিত মুদ্রার চিত্র দেওয়া গেল । মণিপুর-পতি মধুসিংহের উল্লেখ ইতিপূৰ্ব্বে করা গিয়াছে, তাহার অন্যতম ভ্রাতা গম্ভীরসিংহকে গোবিন্দ চন্দ্র নিজ সেনাপতি নিযুক্ত করিয়াছিলেন। মারজিতের গম্ভীরসিংহ মারজিতের চির বিরোধী ছিলেন । আক্রমণ । ১৮১৮ খৃষ্টাবে মারজিং কাছাড় আক্রমণ করেন। গোবিন্দ চন্দ্র ও বাধা দিতে উপস্থিত হইলেন, কিন্তু সেনাপতি গম্ভীরসিংহ বিশ্বাসঘাতকতা পূর্বক ভ্রাতৃপক্ষে যোগ দেন। গোবিন্দ চন্দ্র ভাবেন নাই যে মণিপুর-বীর গম্ভীরসিংহ ব্যক্তিগত ভাবে ভ্রাতার বৈরী হইলেও এক্ষণে তাহাকে পরাজিত করিয়া শুামল পৰ্ব্বতমালা-বিলাসিত স্বদেশ “মিতাই ভূমিকে" তিনি পরাধীন করিয়া দিতে ইচ্ছা করেন না ; গোবিন্দ চন্দ্রের সমস্ত আশা ভরসা নির্বাপিত হইল; এই অচিন্তিত পূৰ্ব্ব বিপংপাতে গোবিন্দ চন্দ্র অনন্তোপায় হইয়া শ্রীহট্টে আগমণ পূর্বক ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের সাহায্য প্রার্থ হন। কিন্তু তৎকালে র্তাহাকে নিরাশ হইতে হয় । গোবিন্দ চন্দ্রের সেনাপতি স্বরূপে গম্ভীরসিংহ মারজিৎকে পরাজিত না করিলেও একান্তভাবে তংপক্ষে যোগ দেন নাই । তাহার অপর ভ্রাতা চৌরজিং নির্বাসিত ভাবে জয়ন্তীয়ায় ছিলেন, গম্ভীরসিংহ তাহাকে আহবান করেন। ভ্রাতার আহবানে তিনি সসৈন্যে কাছাড়ে আগমন করিলে ভয়ে মারজিৎ মণিপুরে প্রস্থান করেন। চৌরজিং কাছাড়ের দক্ষিণ দিক আয়ত্ত করিয়া লন। 脚 品 ● ইহার পরবর্ষে ব্রহ্মরাজ মণিপুর জয় করেন ; মারজিং বিপংকালে কাছাড়ে আগমন পূৰ্ব্বক ভ্রাতা চৌরজিং ও গম্ভীর সিংহের সহিত সন্ধি করিয়া কাছাড়ে বাস করিতে বাধ্য হন । কিন্তু তথায়ও তিনি শান্তিলাভে