পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার—কাছাড়ের কথা । ०७१ হত্যা করে। গোবিন্দচন্দ্রের উত্তরাধিকারী কেহ ছিল না, কাজেই তদীয় রাজ্য গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক অধিকৃত হয়। * মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কাচাদিন নামে এক সেবক উত্তরদিগ্বন্তী পাৰ্ব্বত্য প্রদেশ শাসনের ভার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন ; কৃষ্ণচন্দ্রের মৃত্যুর পর রাজ্য ੱਝ উত্তর গোলযোগে তিনি স্বাধীনতা অবলম্বন করেন। গোবিন্দকাছাড় । চন্দ্র কৌশল জাল বিস্তার ক্রমে তাহাকে সমতল ক্ষেত্রে ( ধরমপুরে ) আনয়ন করতঃ বধ করেন। তাহার পুত্র তুলারাম, পিতার হত্যা কাণ্ডে গোবিন্দচন্দ্রের ভয়ানক শক্র হইয়া দাড়ান। এবং নাগ, কুকি প্রভৃতি দ্বারা দল গঠিত করিয়া তাহাকে উত্যক্ত করিতে থাকেন। ক্রমাগত তিনটি যুদ্ধে তুলারাম জয়লাভ করেন। বহুকাল কলহের পর, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক বাধ্য হুইয়া, ১৮২৯ খৃষ্টাব্দে গোবিন্দচন্দ্র তুলারামকে ২২২৪ বর্গমাইল পরিমিত ভূমির অধিকার ছাড়িয়া দিয়া তাহাকে অধীন রাজ বলিয়া স্বীকার করেন । ই ই সম্প্রতি উত্তর কাছাড় নামে অভিহিত । ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে তুলারামের রাজ্যসীমা উত্তরে যমুনা ও দয়াং নদী, পূর্বে ধনশ্ৰী নদী, দক্ষিণে মাহুর নদী ও নাগাপাহাড় এবং পশ্চিমে দয়াং নদী নির্দিষ্ট ছিল। ১৮৫০ খৃষ্টাবে তুলারামের মৃত্যু হয়। তুলারামের মৃত্যুর পর তাহার পুত্র নকুলরাম ও ব্ৰজনাথ উত্তর কাছাড় শাসন করেন। ইষ্ট ইণ্ডিয় কোম্পানীকে বার্ষিক ৮টি হাতী কর স্বরূপ নিতে হইত। ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে । নকুলরাম নাগাদিগের প্রতিকূলে অস্ত্র ধারণ করিয়া প্রাণত্যাগ করেন। এই যুদ্ধে নকুলুরাম গবর্ণমেণ্টের আদেশ গ্রহণ করেন নাই, এই কারণে র্তাহার মৃত্যুর পর তদীয় রাজ্য গবর্ণমেণ্ট অধিকার করেন ৷ নকুলরামের বংশধরগণ কিঞ্চিৎ বৃত্তি ও কতক ভূমি নিষ্কর স্বরূপ প্রাপ্ত হন। ১৮৩ খৃষ্টাব্দে গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক কাছাড় রাজ্য অধিকৃত হইলে কপ্তেন ബ ജബ് இக மேம் • * “Gobinda chandra was finally assassinated in 1830 without any son the British took possession of the country, in accordance with the condition of the treaty of 1S26. Hunter's S. A. of Assam. VOL. II (Sylhet)