পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-| ভৌগোলিক इंखांख् | s ১ম ভাঃ vš 학 هو . তাবৎ হাতীই চলিয়া যায়, ইহাতে পদচিহ্ন দৃষ্ট্রে সেই পথে মাত্র একটি হাতী গিয়াছে বলিয়াই বোধ হয়। তবে শাবকগণ “এক পাড়ায়? যাইতে পারে না ; এই জন্য শাবকের পদচিহ্ন দৃষ্টে দলের বৃহত্ত্ব অনুমান করিয়া লওয়া হয়। তিনরূপ উপায়ে হাতী ধরা হয়, যথা—খেদা, ফাস ও পরতালা ; যে সকল স্থানে প্রায়শঃ হস্তী ধৃত করা হয়, সে স্থানকে রমনা বলে। শ্ৰীহট্ট জিলায় ছয়টি রম্ন প্রসিদ্ধ। * যথা—(১) শিংলা, (২) লঙ্গাই, (৩) লাউড়, (৪) ভামুগাছ (৫) মূলাগোল ও (৬) তারাপুর। এই রমনাগুলির মধ্যে শিংলা ও লঙ্গাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ছিল, কিন্তু বর্তমানে বহুদুর পর্য্যন্ত আবাদ হইয়া যাওয়াতে হস্তী পূৰ্ব্ববৎ আগমন করে না। খেদার প্রধান কাৰ্য্যকারকের নাম পাঞ্জালী। পাঞ্জালীগণই প্রথমতঃ জঙ্গলে গিয়া হাতীর সন্ধান করে ; পদচিহ্ন পরীক্ষায় তাহাদের গতি ও আনুমানিক সংখ্যা নির্দেশ করে। প্রতাপগড় গরগণায় অনেক মোসলমান এই কার্য্যে দক্ষতা লাভ করে, ইহাদের নামে গ্রাম ও তালুক প্রভৃতি আছে। পাঞ্জালীরা সুবিধাজনক স্থানে হস্তীযুথকে দেখিতে পাইলে, অপর লোকের সাহায্যে ঘেরাও করিয়া লয়। যে সকল লোক এইরূপে হস্তীযূথকে বেষ্টন করিয়া দাড়ায়, তাহাদিগকে ‘গড়ওয়া’ বলে। প্রতি খেদায় পাঞ্জালী সংখ্যা অনুন ১৬ জন এবং গড়ওয়া সংখ্যা ৩০° শত জন হওয়া চাই । প্রথমতঃ এইরূপ বেষ্টন করিয়া, সকলে একসঙ্গে চিৎকার করিয়া উঠে, ইহাতে হস্তীযূথ ভীত হইয়া, একস্থানে নিঃশব্দে দাড়াইয়া রহে। এই অবকাশে পাঞ্জালীরা কয়েক হাত অন্তর অস্তরে দুই দুই জন লোক পাহারার কার্য্যে, রাখিয়া দেয় । দুই জনের একজন, নিকট হইতে বৃক্ষাদি কাটিয়া পাঞ্জালীদের নির্দেশান্থসারে হস্তীদের গমন পথের মুখে এক সুবৃহৎ “খোয়াড়” খেদা |

  • “Six tracts are now resumed for elephant hunting Mahals in Sylhet.

Hunter's statistical Accounts of Assam vol. II. (Sylhet.)