পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ ভৌগোলিক বৃত্তান্ত। [ ১ম ভাঃ ৬ষ্ঠ অঃ - ও বাহিরের লোক বল্লম দ্বারা আঘাত করায় হস্তীকে নিরুদ্যম হইতে হয় । ইহাকে “গড়দাখিল" করা বলে। খেদার পক্ষে এই সময়টাই মূল্যবান ও বিপদ জনক । খেদার লোকদিগকে এই সময় অতি ক্ষিপ্রকারিতার সহিত কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে হয় । গড়ের দুয়ার বন্ধকরণ, শুষ্ক পত্রে অগ্নিদান ইত্যাদি নিমেষ মধ্যে সমাধা করিতে হয়। হস্তী সমূহ গড়ে আবদ্ধ হইলে, সম্ভবতঃ যত সত্বর পারা যায়, এক একটি শিক্ষিতা পোষা কুনকী সুবিধা মত গড়ে প্রবেশ করাইয়া, তৎসহায়তায় বন্ত হস্তী বন্ধন করিয়া ফেলা হয়। ইহারই নাম হাতী খেদ । খেদাইয়া অর্থাৎ বিতাড়িত করিয়া হাতীকে আবদ্ধ করা হয় বলিয়া, ইহা খেদা নামে কথিত হয় । খেদায় প্রায় সমস্ত দলকেই এক সঙ্গে আবদ্ধ করা যায়। কিন্তু ফাস শিকারে প্রতিবারে একটি হাতীর অধিক ধরা যায় না। যখন কোন কারণ বশতঃ অথবা আহারাথেষণে একাকী একটি কুনকী হাতী বিচরণ করিতে দেখা যায়, তখন মাহুতগণ দুইটি শিক্ষিত পোষা কুনকী লইয়া তাহার নিকট গমন করে। পোষা হস্তিণীদের দেহলগ্ন একগাছি রঞ্জুর এক পাশ্বে ফাদ আট থাকে। পোষা হস্তিণী বন্যটির নিকটবৰ্ত্তী হইয়া, গুণ্ডদ্বারা নিমেষে তাহার মাথায় ফাসটি তুলিয়া দেয় । বন্ত হস্তী স্বভাবসিদ্ধ অভ্যাস বশে তখন গুগুটি গুটাইয়া লয়, তাহাতে তাহার গলদেশে ফাস লাগিয়া যায়। দ্বিতীয় হস্তিণীটিও তৎক্ষণাৎ নিজ দেহলগ্ন ফাস বন্যটির গলায় তুলিয়া দিয়া, উভয়ে পেছন ফিরিয়া দুই পাশ্ব হইতে টানিতে থাকে, উভয়ের টানাটানিতে বন্য হস্তী পরিশ্রান্ত ও “কাবু” হইয় পড়িলে, মাহুত তাহার পশ্চাদিকের পদে রজ্জ্ব সংলগ্ন করিয়া বৃক্ষে বাধিয়া ফেলে। ফাস শিকারে এক উদ্যমে ৪৫ টি হাতীর অধিক ধরা হয় না। মূলাগোল প্রভৃতি স্থানে ফাস শিকার করা হয়। ফাস শিকারে মাক্না কি গুণ্ডা হাতী ধরা অতি বিপদ জনক । যথভ্রষ্ট মাকনা কি গুণ্ডা হাতী ধরিবার উপায় পরতলা। "ত"" যখন ইহারা মদমত্ত হয়, তখন মাহতগণ চারিটি কুম্কী ফাস শিকার ।