পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bb ভৌগোলিক বৃত্তাস্ত । ১ম ভাঃ ७ु वः । ώλημα সুমিষ্ট স্বরবিশিষ্ট খাম, দৈয়েল, ক্ষুদ্রকায় তুতিয়া প্রভৃতি আরও অনেক পক্ষী আছে। এ সকল পক্ষীই সযত্নে লোকে পোষিয়া থাকে এবং বাজারেও বিক্রয় হয়। কোকিল, বউ-কথা-ক ( কাটাল পাখী ), হলুদে পাখী, কাটঠোকরা, মেছোয়ারাঙ্গা ( মৎস্তরঙ্গ), প্রভৃতি পক্ষী সৰ্ব্বত্রই দৃষ্ট হয়। পালক ব্যবসায়ীরা মেছোয়া রাখাল শিকার করিয়া লইয়া যায়। এই সকল পাখী বন্য হইলেও কখন কখন লোকালয়েও আসিয়া থাকে। পাহাড়ে ”ধনেশ্বর” নামক এক প্রকার পক্ষী পাওয়া যায় । ইহার আকৃতি বৃহৎকাকের মত, কিন্তু ঠোটটা শরীর হইতেও বড়, এজন্য দেখিতে কদাকার। ইহাদের দেহে চৰ্ব্বির পরিমাণ অত্যধিক থাকায় রৌদ্রে বাহির হইতে পারে না। লোকে আগ্রহ সহকারে ধনেশ্বর শিকার করিয়া ইহার তৈল সংগ্রহ করে। সুতিকারোগে ইহার তৈল অতি উপকারী। ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ভেদে ধনেশ্বর দ্বিভিদ । Աիի ঘুঘু (টুপী) কয়েক জাতীয়ই দৃষ্ট হয়। ঘুড়মাকড়' নামীয় বৃহৎ জাতীয় ঘুঘু লোকে আগ্রহ সহকারে শিকার করতঃ তাহার মাংস উপাদেয় বোধে ভক্ষণ করে । “মধুরা” নামে এক প্রকার পক্ষী পাহাড়ে থাকে, ইহাদের আকার বন্ত কুকুট তুল্য কিন্তু শব্দ ঠিক ব্র্যাঘ্র গর্জনবৎ । ইহাদের শব্দে কখন কখন পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের পথিককে বিত্রস্ত হইতে হয়। ময়ূরাকৃতি পরকদম্ব পক্ষী, তিতর ও বন্য কুকুট প্রায় সৰ্ব্বত্রই আছে । চিল, বলহা প্রভৃতি বৃহৎ মৎস্যাসী পক্ষী ও বুলবুল, বাবুই, খঞ্জন প্রভৃতি ক্ষুদ্র পক্ষী এবং বিবিধ প্রকার বন্য পক্ষী সৰ্ব্বত্রই দেখা যায় । জলচর পক্ষীর মধ্যে রাজহংস, পাতিহাস, সরালি (হংসবিশেষ), বিবিধ জাতীয় বক, ডাউক ( দ্যাতুহ ) প্রভৃতি বিস্তৃত হাওরে প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় । গ্রাম্য পক্ষীর মধ্যে কাক, চড়ুই, শালিক প্রভৃতি প্রধান। জলালী কবুতরকেও এই শ্রেণীর মধ্যে গণ্য করা যাইতে পারে। জলালী কবুতর