পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-প্রথম খণ্ড 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ৮২ রামরামের চারিপুত্রের মধ্যে ৩য় ও ৪র্থ পুত্র রামকেশব স্মৃতিরত্ন ও রামদয়াল ভট্টাচায্যের বংশ নাই; প্রথম পুত্র রামচরণ ও দ্বিতীয় পুত্র রামলোচনের সন্ততিবর্গই এক্ষণে সসম্মানে পৈতৃক ভিটার বাস করিতেছেন। শ্রীহট্ট শহরের ভট্টাচাৰ্য্যবংশীয় ব্রাহ্মণ সম্বন্ধে ২/৪টি কথার উল্লেখ করিয়া এ খণ্ডের ব্রাহ্মণ বিভাগ সমাপ্ত করিতেছি। ইহারা সাহু বণিক সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণ। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তে পূৰ্ব্বাংশে ইটার রাজা সুবিদনারায়ণের সভাপণ্ডিত পরাশর গোত্রীয় ব্রাহ্মণদের কথা বলা গিয়াছে রাজকোপে তিনি পদচ্যুত হন, তাহার বংশ বহু বিস্তৃত। গৌতম গোত্রীয় তদীয় দৌহিত্র বংশ এবং কুটম্ব পূতিমাস প্রভৃতি তগোত্রীয় ব্রহ্মণগণই তৎকালে সাহু সমাজের পৌরহিত্যে বৃত হইয়াছিলেন। বলা গিয়াছে যে, রাজা সুবিদনারায়ণ ও শ্রীহট্টের দেওয়ানের বিবাদকালে শ্রীহট্ট শহরে দেওয়ানের উপলক্ষে এক সভা আহুত হয়, সেই সভায় সমাগত বহুতর ব্রাহ্মণ ও ভদ্রলোক পরে রাজকোপে সমাজত্যক্ত হন, সেই ব্রাহ্মণের মধ্যে কোন একজনের পৌত্র বা প্রপৌত্রের নাম কৃষ্ণকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য।” কৃষ্ণকান্তের সুদাম নামে এক পুত্র জন্মে, তাহার দুই পুত্র রাজারাম ও সুখদেব। এই দুই শাখা হইতে ংশ বিস্তুতি ঘটিয়াছে। সফল স্বপ্ন সুদাম ভট্টাচাৰ্য্য একদা স্বপ্ন দর্শন করেন যে আমুড়া বিলে তিন কোলে গুপ্তধন প্রাপ্ত হইয়াছেন। প্রভাতে ব্রাহ্মণের মনে ধনলিঙ্গা জাগিয়া উঠিল তিনি অনতিবিলম্বেই আমুড়া বিলে গিয়া অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন; তথায় তিনি ধনের পরিবৰ্ত্তে এক অমূল্য রত্ন প্রাপ্ত হইলেন, তন্মধ্যে শ্রবংশীধারী বিগ্রহ। অপর এক সুদাম বিপ্রের কথা পাঠক স্মরণ করুন, দ্বাপর যুগের সেই দরিদ্র সুদাম ধনের আশায় বন্ধুর নিকট দ্বারকায় গিয়াছিলেন; কিন্তু সেই বংশীধারী পার্থিব ধনের পরিবৰ্ত্তে র্তাহাকে অতুল আমাদের প্রাগুক্ত সুদাম ভট্টাচাৰ্য্যও বংশীধারী বিগ্রহ লইয়া গৃহে আসিলেন, এবং নিজ গৃহেই ঐ বিগ্রহ স্থাপন করিয়া পূজা করিতে লাগিলেন। সুদামের পুত্রদ্বয় শ্রীহট্টের নবাব হইতে ঐ দেবতার বৃত্তি দৈনিক দুই পণ কৌড়ি মঞ্জুর করাইয়া লন। রাজারাম সুদামের জ্যেষ্ঠ পুত্র, ইহার পুত্রের নাম বলভদ্র;বলভদ্রের সুসস্তান না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ র্তাহাকে নিঃসন্তান জানিয়া তদীয় পৈত্রিক বৃত্তির এক অংশে একপণ রহিত করিয়া দিয়াছিলেন। কিন্তু পরে তিনি নিকটবৰ্ত্তী বংশ হইতে নীলাম্বর নামে এক দত্তকপুত্র গ্রহণ করেন। এই নীলাম্বরের বংশধরবর্গ মধ্যে অনেক প্রধান ব্যক্তির উদ্ভব হইয়াছিল। ২৮. শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ ২য় ভাগ ২য় খণ্ড ৭ম অধ্যায় দ্রষ্টব্য। ২৯. কৃষ্ণকান্ত ভট্টাচার্যের বিস্তুত বংশের একটি ক্ষুদ্র শাখা নিম্নে উদ্ধত করিলাম ঃ–