পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-প্রথম খণ্ড 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ৮৮ বিভিন্ন বংশ “এতদ্ব্যতীত রায়নগরে মোহন রায়ের একটি বংশ ছিল, তাহার বাড়ীর চিহ্ন আছে, প্রায় ২০০ বৎসর হইল, সেই বংশ লোপ পাইয়াছে। শস্তু রায়ের আর একটি বংশ ছিল, শস্তুরায়ের দীঘী ও দুইটি শিবালয়ের ভূকম্পের অবশিষ্ট ভগ্নাবশেষ আছে।” “রায় নগরে দানী রায় বলিয়া আর একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন। দানী রায় দেব ছিলেন।” 虚 “ইহা ছাড়া রাযনগবে একটি আদিত্য বংশ ছিল, তাহারবাড়ীতে মণিপুরীরা বাস করিতেছে তাহা এখন আদিত্য পাড়ানামে খ্যাত। মণিপুরীরা প্রথমব্ৰহ্মযুদ্ধের সময় পলাইয়া আসিয়া লালা আনন্দ রামের বাড়ীর নিকটবৰ্ত্তী আনন্দগঞ্জে (গোয়ালিনীর তীরে) বাস করে ও তাহার পরে আদিত্যের বাড়ীতে আসিয়া বাস করে। আদিত্য বংশের শেষ তব্যক্তি রায়াদিত্য (১২৫৮ বঙ্গাব্দ)”।* “এই আদিত্য বংশও রায়নগরের আদিম অধিবাসী নহেন। দেব ছাড়া কেহই প্রাচীন নহেন। এই আদিত্য কাহারা, তাহা বলা যায় না, তবে লোক মুখে শুনা যায় যে আদিত্যের অতি প্রাচীন বংশ সন্তুত, ইহারাও বরশালার লোক।” “এতদ্ব্যতীত রায়নগরে একটি চৌধুরী বাড়ী ছিল, চৌধুরীদের বংশ প্রায় ৬০ বৎসর পূৰ্ব্বে নিৰ্ব্বংশ হইয়াছে। র্তাহার বাড়ীর সম্মুখে একটি শিবলিঙ্গ স্থাপিত আছেন, তিনি বুড়াশিব। র্তাহার আদি অন্ত নাই, কেহ তাহাকে স্থাপন করে নাই।” “রায়নগরের কায়স্থের কথা বলিতে একঘর সাহুদের কথা বলিতে হয়, তাহারা পুরকায়স্থ উপাধিকারী, তাহারা মূলতঃ কায়স্থ ছিলেন। সমাজে রাজা গিরীশচন্দ্রের পরেই তাহাদেব স্থান। কিন্তু কায়স্থেরা ইহাদের সঙ্গেই বেশী মিলিয়া থাকেন। সেন, মজুমদার,রায়দেব সম্মানের মত পুরকায়স্থকেও লোকেরা সম্মান করিয়া থাকে, তবে কায়স্থ ও সাহু এই যা প্রভেদ।” সুপ্রসিদ্ধ রাজা গিরীশচন্দ্রেব মাতামহ বংশীয় দেওয়ান মুক্তারাম ও মাণিকচাদ প্রভৃতির কথা ৫. দানীবায়ের বাড়ীর শ্রেষ্ঠাংশেই এই বিবরণ প্রদাতা শ্ৰীযুত রজনীরঞ্জন দেব মহাশযের পূবৰ্বপুরুষ আসিয়া বাস করিয়া ছিলেন। রজনীবাবু লিখিয়াছেন—“দানী রায়েব সহিত আমাদের কোনও সম্বন্ধে নাই, প্রসিদ্ধ রায় বংশের সহিতও সংশ্ৰব নাই। রাঢ়দেশ হইতে আসিয়াছি এই মাত্র জানি, বায়নগবের কুলগৌরবে কখনও শ্রেষ্ঠ হইতে পারি নাই, তবে গোত্র ও প্রববের হিসাবে তাহা বলা যাহতে পারে।” রজনীবাবু লিখিয়াছেন—“বায়দিত্য ১২৫৬ বঙ্গাব্দে একখণ্ড ভূমি আমার পিতামহকে বিক্ৰয কবেন,তাহার হস্তাক্ষর ও দলিল আমার কাছে আছে।” ৭. প্রাপ্ত প্রস্তর ফলক—আদিনা মহলায় প্রাপ্ত একখণ্ড শিলালিপি মজুমদার সাহেবগণ সযত্নে বক্ষা কবেন। Historical Researches in Assam isog 8°f of 331 Undeciphercable offs fois-Ro osco o প্রস্তর ফলক সম্প্রতি দস্তিদারদের হস্তগত হইয়াছে। ইহার পশ্চাৎভাগে দুইটি শৃগাল অঙ্কিত আছে এবং সম্মুখভাগে প্রাচীন বঙ্গাক্ষরে কিছু লিখিত আছে। শ্ৰীযুক্ত রজনীবাবু বলেন “আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বুদ্ধি মতে যতদূর বুঝিয়াছিতাহাতে “বরছর গ্রামে জনৈক কে ভূমিদান করিয়াছেন। বৎসর ৯০১ বেশ স্পষ্ট বুঝা যায়। ইহারাই কি রায়নগরেব আদিত্য ?” ৮. এই অনাদিলিঙ্গ শ্ৰীযুত রজনীবাবুদের অধিকারে আছেন। “এই বৃহৎ লিঙ্গটি একজনে তুলিতে পারে না; কিন্তু “ব্রহ্মদৈত্য” কর্তৃক শিবলিঙ্গ এইরূপ একস্থান হইতে অন্যস্থানে নীত হইয়া থাকেন। এই লিঙ্গ কোন মন্দিরে থাকেন না, কেহ কেহ মন্দির প্রস্তুত করিয়া দিতে উদ্যত হইযাছিলেন। কিন্তু বিপদগ্ৰস্ত হওয়ায় আর মন্দির নিৰ্ম্মিত হয় নাই। প্রধানতঃ একটা সেওড়াগাছের তলাতেই শিব থাকেন,বৃক্ষটি দীর্ঘকালাবধি একই অবস্থায় আছে।” \ප.