পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৫ ষষ্ঠ অধ্যায় বৈদ্য ও কায়স্থাদির কথা এ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ঢাকা দক্ষিণের দত্ত বংশ দত্তরালি গ্রাম চৌধুরী বংশের বীজীপুরুষ পূৰ্ব্বোক্ত দেবদাসের বংশে হলধর নামে এক খ্যাতনামা ব্যক্তি ছিলেন। র্তাহার চেষ্টায় ঢাকাদক্ষিণে বহুতর ভদ্রলোকের বসতি স্থাপিত হইয়াছিল। তিনি দত্ত বংশীয় হৃদয়ানন্দ নামক এক দরিদ্র ভদ্র ব্যক্তিকে পুত্র ও পৌত্ৰাদি সহ সপরিবারে “রাণীঘাট’ হইতে আনয়ন করিয়া স্থাপন করেন ও নিজ তনয়া সুতপাকে তাহার পৌত্র বিপুলানন্দের কাছে বিবাহ দেন। এই “রাণীঘাট’ কোথায় ছিল? এ রাণীঘাট নদীয়ার রাণীঘাট বলিয়া বোধ হয় না। কুশিয়ারা নদীর পশ্চিমে “রণাডহর” বলিয়া একটি স্থান আছে, উহাই উক্ত রাণীঘাট নামে কখনও খ্যাত ছিল কিনা বলা যায় না। কিন্তু জনশ্রুতি আছে যে, হৃদয়ানন্দ কুশিয়ারার পূৰ্ব্বতীরে অবস্থিতি করিতেন। হলধর কত্ত্বক যে স্থানে হৃদয়ানন্দ দত্তের বাসস্থান নির্দিষ্ট হয়, দত্তদের বাস নিবন্ধন তাহা “দত্তরালি” গ্রাম নামে খ্যাত হয়। বংশবিস্তুতি হৃদয়ানন্দ দত্তের” পুত্র ছিলেন নয়নানন্দ, ইহার তিন পুত্র জ্যেষ্ঠ দেবকীনন্দন, মধ্যম দেবীদাস এবং কনিষ্ঠ বিপুলানন্দ । কালে ইহাদের বংশ বিস্তুতির সহিত র্তাহারা প্রত্যেকে পৃথক পৃথক বাড়ীতে বাস করায়, উক্ত স্থান যথাক্রমে পূৰ্ব্বপাড়া, মাইজপাড়া ও উত্তরপাড়া নাম খ্যাত হয়; উত্তপাড়াতেই বিপুলানন্দ ও সুতপার সন্তান বর্গের বাস। দৈবকীনদেব পুত্রের নাম শ্রীনাথ। শ্রীনাথ অতি প্রতাপান্বিত ব্যক্তি ছিলেন। অল্পকাল মধ্যেই ক্ষমতায় ঢাকাদক্ষিণ মধ্যে তিনি প্রধান স্থান অধিকার করেন। “শ্রীনাথ কবি নামে ঢাকাদক্ষিণে চারি দস্তখত প্রচলিত ছিল। তন্মধ্যে প্রথম দস্তখতই শ্রীনাথ দত্তের নামান্বিত। দত্তরালির দত্তগণই এই সম্মানের অধিকারী। স্বগীয় কালিকাপ্রসাদ চৌধুরী ইদানীং দৈবকীনন্দনের বংশে একজন ক্ষমতাশালী মিরাসদার ছিলেন। “কবি”—এই অস্তিত্ববিহীন দস্তখতের বিবরণ ইতিপূৰ্ব্বে বলিয়াছি, রায়গড়ের চৌধুরী বংশীয়গণ এই সম্মানের অধিকারী। দিল মোহাম্মদ বংশীয়গণ কাণিশালি গ্রামে অবস্থিতি করিতেছেন। নবি বংশীয়গণ রণকেলী (রণিকাইল) ও আমুড়ার চৌধুরী বংশ। এই বংশীয় প্রতাপান্বিত জমিদার মৌলবী আবদুল রহিম চৌধুরী একটি খাল সুরমা নদী পর্যন্ত খনন করাইয়াছিলেন, উহাই “মৌলবী খাল” নামে প্রসিদ্ধ । মজকব খবিদ কবিতে আমবাও বাজি আছিলাম। রাজিনামা দেওয়ানী দফদক স্বগীয মহবে দিছি এই সমাচার আমবা জানি এতদার্থে ছুবতাল পত্র দিলাম। ইতি সন ১১২৯ সাল ২৩শে অগ্রাহায়ণ সহরে মহবম।” ২২ ঘ পরিশিষ্ট দেখ। পববৰ্ত্তী প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদেব নামনিৰ্দ্দেশে তত্রস্থানে তাহাদেব প্রসিদ্ধিব কথা বলা যাইবে।