পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৭ ষষ্ঠ অধ্যায় : বৈদ্য ও কায়স্থাদির কথা এ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত প্রভুব অভিপ্রায় মত তথায় তিনি বিবাহ করেন, কালক্রমে তাহার একটি পুত্র হয়, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নাম স্মরণে ইহার চৈতন্যদাস নাম রাখা হয়। ইহারা পিতাপুত্রে অদ্বৈত প্রভুর শিষ্য ছিলেন । অদ্বৈত প্রভুর শাখা গণনায় ইহাদের নাম আছে— “নন্দিনী আর কামদেব চৈতন্যদাস—” শ্রীচৈতন্য রতামত । চৈতন্যদাসের পুত্রের নাম নবহরি। তিনি স্ত্রীকে লইয়া পিতামহের জ্ঞাতিবর্গ সহ সম্মিলনে শ্রীহট্টে আগমন করেন। জ্ঞাতিবর্গ তাহাকে পাইয়া অদ্বৈতের পার্ষদ বংশধর জ্ঞানে নিরতিশয় শ্রদ্ধা করিতে লাগিলেন ও এদেশে থাকিতে নিরতিশয় আগ্রহ করিলেন। তিনি তাহাদের অত্যাগ্রহ প্রত্যাখ্যান করিতে সমর্থ হইলেন না। তাহারা তাহাকে ভূমিদান করিলেন, নরহরি সেই ভূমে—হুসিয়াবপুর গ্রাম স্বগীয় জগন্নাথ বিগ্ৰহ স্থাপন পূৰ্ব্বক সেবাধিকারী রূপে বাস করিতে লাগিলেন। দেখিতে দেখিতে নরহরির কাছে অনেক ভদ্রলোক দীক্ষাগ্রহণে র্তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করিলেন। তাহার বাড়ী “জগন্নাথের আখড়া” নামে খ্যাত হইয়া পড়িল । ইহার পুত্র নিত্যানন্দ এক সিদ্ধপুরুষ ছিলেন। ইহার সম্বন্ধে অনেক আশ্চৰ্য্য ঘটনার সংবাদ শুনা যায। মোহাম্মদ আলী নামক জনৈক জমিদার ইহার গুণে মোহিত হইয়া তাহাকে অনেক ভূমি দান কবিয়াছিলেন। নিত্যানন্দ হইতে এ বংশের মহিমা ও সম্মান বহুগুণে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। এবং তদবিধই ইহাবা সাধারণতঃ “লক্ষ্মীপুরের গোসাঞি" নামে কথিত হইয়া আসিতেছেন। কিন্তু তাহাদের উপাধি প্রাপ্তিব কোনও বিশিষ্ট বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া যায নাই। নিত্যানন্দের মৃত্যুর পর তাহার দেহ ভেখাশ্রিত বৈষ্ণবের রীতিমত সমাহিত করা হইয়াছিল। কথিত আছে, তিনি তাহার অনেক ভক্তকে মৃত্যুর পরেও ছায়ামূৰ্ত্তিতে দর্শন দিয়াছিলেন। নিত্যানন্দের পৌত্রের নাম পীতাম্বর, তৎপুত্র দুল্লভদাস, তাহার পুত্র শুকদেব। শুকদেবের পুত্রের নাম বৃন্দাবনচন্দ্র, ইহার দুই—পুত্র মাধব ও বিশ্বম্ভর। মাধবের পুত্র গোরাচাদ এবং বিশ্বস্তুরের পুত্র নিমাই পণ্ডিত। এই দুই ভাইর মধ্যে নিমাই পণ্ডিত অতি বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। গোরাচাদ একদা এক শিষ্যবাড়ীতে গমন করিয়া তত্রতা একটি রমণীর রূপে বিমুগ্ধ হন। উক্ত রমণীর উপদেশে তাহার মোহ বিদূরিত হয় এবং তিনি ঢেউপাশা নামক স্থানে গমন করিয়া কিশোরী-ভজন মতানুবৰ্ত্তী রঘুনাথ ভট্টার্যের কাছে উপদিষ্ট হন। ইনি মহলালের প্রসিদ্ধ শ্যামকিশোর ঘোষের কন্যার পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন। ৪র্থ ভাগে জীবনী প্রসঙ্গে এই বিষয় কথিত হইবে। ইহার পুত্রের নাম গোবিন্দর্চাদ অধিকবী, তৎপুত্ৰ শ্ৰীযুত গোপেন্দ্রকুমার জীবিত আছেন। পরগণা-গোধরালি গোধরালি পরগণার পুরকায়স্থগ্রাম তত্ৰত পুরকায়স্থ বংশীয়গণের মৌলিকত্ব প্রচার করিতেছে। কথিত আছে, রামচন্দ্র দেব ও শ্যামরাম দেব স্থানান্তর হইতে তথায় গিয়া বাস করেন ও তত্ৰত্য পাটওয়ারি