পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০৩ সপ্তম অধ্যায় : মোসলমান বংশ বর্ণন 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তদানীন্তন প্রিন্স অব ওয়েলস বাহাদুরকে কয়েকটি উপহার দেওয়ায় তিনি তুষ্ট হইয়ার্তাহাকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। তিনি উর্দু ভাষায় “আইন-ই-হিন্দু” নামে একখানা ইতিহাস গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া যশোভাজন হইয়াছেন;এই গ্রন্থের ৩য় অধ্যায়ে শ্রীহট্টের বিবরণ লিখিত আছে। তদীয় গুণমুগ্ধ আসামের চিফ কমিশনার বাহাদুর ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে তাহাকে দুখানা চিত্র উপহার দেন। ১৮৪৭ খৃষ্টাব্দ ৩রা জানুয়ারী তারিখে প্রকাশিত আসাম গেজেটের ১নং নোটিফিকেশনে তাহাকেও আদালতে উপস্থিত না হইবার ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দ ২২শে আগষ্ট র্তাহার মৃত্যু হয়। তদুপলক্ষে শ্রীহট্টের প্রত্যেক আফিস আদালত একদিনের জন্য বন্ধ হইয়াছিল। মজিদবখৎ মজুমদার সাহেব তাহারই অনুজ। ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে তিনি রাজশাহীর ডিপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট ও কালেক্টর নিযুক্ত হন ও তাহার পর একষ্টা এসিষ্টেণ্ট কমিশনার রূপে আসাম প্রদেশে বদলী হইয়া আসেন। তিনি লুশাই যুদ্ধে ও বিগত মণিপুর যুদ্ধে গবর্ণমেণ্টকে নানারূপ সহায়তা করেন। লুশাই যুদ্ধে সাহায্য প্রদান জন্য তিনি গবর্ণমেণ্ট হইতে ধন্যবাদ সূচক চিঠি’ প্রাপ্ত হন এবং মণিপুর রাজ্য বিজিত হইলে, যুদ্ধে সাহায্য জন্য পুরস্কার স্বরূপ মণিপুর রাজের হস্তীদন্ত-নিৰ্ম্মিত ছত্ৰদণ্ড ও সুবর্ণরঞ্জিত ছত্র প্রাপ্ত হন । মজিদবখৎ সাহেবকে গবর্ণমেণ্ট খান বাহাদুর উপাদি দান করেন, এই উপাধি দানোপলক্ষে তাহাকে সুবর্ণ হাতাযুক্ত মূল্যবান এ তরবারি প্রদত্ত হয়। তিনি ভারত-সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড বাহাদুরেব সম্রাট উপাধি গ্রহণোপলক্ষে দিল্লী দরবারে গমন ও তথায় একটি করনেশন পদক প্রাপ্ত হন। পূৰ্ব্বে তিনি সভ্রাতৃক মক্কাগমন কালে জাহাজে বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন। ভগবৎ কৃপায় উদ্ধার পান, তৎকৃত Majumdar family পুস্তিকায় তাহা বিস্তারিত বর্ণিত আছে। এই বংশে আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির উদ্ভব হয়, তন্মধ্যে আশ্রব আলী মজুমদারের নামকরা যাইতে পারে।ইনি অসাধারণ বলশালী ছিলেন।কুস্তিবিদ্যায় তাহাব সমকক্ষ লোক দৃষ্ট হইতনা বিদেশাগত কোন পলোয়ানই র্তাহার সহিত বল পরীক্ষায় বিজয়ী হইতে পারে নাই। তাহার এতাদৃশ পরাক্রম দর্শনে লোকে বিস্মিত চিত্তে ভাবিত যে মানুষে তদ্রুপ বল কোন রূপে কখন সম্ভবে না; তিনি নিশ্চিত দৈববল সম্পন্ন— “পরীসাধনায় সিদ্ধ” আশ্রব আজীবন কুমার ব্রতাবলম্বী ছিলেন। মুফতি বং বুরহানউদ্দীন কেতান হজরত শাহজলাল মুজররদ সহ আবব হইতে যে দ্বাদশজন আউলিয়া আগমন করেন, তন্মধ্যে একজনের নাম খাজা বুরহানউদ্দীন কেতান। খাজা উপাধির ন্যায় কেতান (কত্তাল) একটা উপাধি। ফকিরী বা বৈরাগ্যে যাহাদের পারদর্শিতা লক্ষিত হইত, তাহারাই কেতান উপাধির অধিকারী হইতেন। বুরহানউদ্দীন, প্রথম খলিফা আবু বখারেব বংশীয় ছিলেন বলিয়া কথিত আছে। ইহার পৌত্র’ শাহ し* 4th Ma1 ch, i 876 ৯ Lettei No 7743 Dated 22nd February 1890. Vide lettei No 1829p Dated 15th Maich, ! 89() ১০ ছ পরিশিষ্টে মুফতিব বংশ তালিকা দ্রষ্টব।