পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৩ প্রথম অধ্যায় : পঞ্চখণ্ডের ব্রাহ্মণগণ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত প্রায় চারিশত বৎসর পূৰ্ব্বে শ্ৰীমহাপ্রভু শ্ৰীহট্টে আসিয়াছিলেন,তাহার আগমনের স্মৃতি ও চিহ্ন চারিশত বৎসরের ব্যবধানেও বিলুপ্ত হয় নাই। র্তাহার পিতৃ ও মাতৃভূমি শ্ৰীহট্ট (-বুরঙ্গ) এবং ঢাকাদক্ষিণ) তদীয় পদরেণু ধারণে পবিত্র মাতৃভূমিতে পরিণত হইতে। শ্রীহট্টের পাশ্ববৰ্ত্তীস্থলগুলিতেও সেই প্রভার পরিচয় পাওয়া যাইবে, বিচিত্র কি? উত্তরদিকে সুসঙ্গ-দুর্গাপুরের হাজঙ্গগণ হইতে তাহারই নিদর্শন কি পাওয়া যাইতেছে না? শ্রীহট্টের রামদাস ও মাধবদাস শ্ৰীমহাপ্রভুর আদেশে উত্তরদিকে গিয়া"কেবল নাম প্রচারে”ইহাদিগকে তরাইয়া ছিলেন।” জ্ঞানবর ও কল্যাণবর কোথায় কি করিয়াছিলেন জ্ঞানবর ও কল্যাণবর কি করিয়াছিলেন? ইহার নাম প্রচারার্থে পূৰ্ব্বদিকে গমন করেন বলা গিয়াছে। শ্রীহট্টের পূৰ্ব্বদিকে বৰ্ত্তমান কাছাড় জিলা কিন্তু তৎকালে° কাছাড়ের রাজধানী তদুত্তর প্রদেশে—ডিমাপুরে ছিল।” তবে কাছাড়ের সমতল প্রান্তর তখনও হেড়ঙ্গ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং সেই অঞ্চলে লোকের বসতি অতি বিরল ছিল। জ্ঞানবর কল্যাণবর সেই বিরল-বসতি স্থলে অল্পকাল অবস্থিতি করিয়া, সেই অল্প সংখ্যক জড়পূজক অধিবাসী মধ্যে বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের বীজ প্রোথিত করেন। অদ্যাপি যে ঐ অঞ্চলের জনসাধারণে বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের মহিমা ও প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, তাহা সেই প্রচার কার্যের অবশেষ কি না কে বলিবে ? জ্ঞানবর ও কল্যাণবর প্রচারান্তে হেড়ম্বেশ্বরের অধিকার হইতে ফিরিয়া আসিলেন। কাজ শেষ হওয়ায় আর তথায় থাকায় প্রয়োজন হয় নাই। র্তাহারা তথা হইতে ফিরিয়া পঞ্চখণ্ডে আগমন হইয়াছিল বলিয়া অনুমিত হয়। এই বংশেই শ্রীরাম মিশ্রের উদ্ভব।” ২৯, “প্রভুর আজ্ঞা লৈয়া আইলা এ চারি গোসাই। রামদাস রাধবদাস উত্তরদিকে যাই।। তথা যায়া বিলাইয়া প্রভুর আজ্ঞাবলে , কেবল নাম প্রচারে সে দিকে তরাইলে।”—রসতত্ত্ব বিলাস ৩০ খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দশাব্দে–(১৫০৯ খৃষ্টাব্দে ?) ৩১. অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত পদ্মনাথ ভট্টাচার্য বিদ্যাবিনোদ কৃত “হেড়ম্বের দণ্ডবিধির ভূমিকা" গ্রন্থে লিখিত আছে, “শ্ৰীযুক্ত গেইট সাহেবের মতে ১৫৩৬ খৃষ্টাব্দে আহোমগণ কত্ত্বক ডিমাপুর বিধ্বস্ত হইলে পর কাছাড়ীগণ ধনশ্ৰী নদীর তীর ভূমি (ডিমাপুর) পরিত্যাগ করিয়া মাইবঙ্গে নুতন রাজধানী স্থাপন করে। কিন্তু মাইবঙ্গের রাজধানীর নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য তৎকালেই সমাপ্ত হইয়াছিল। একথা বলা যায় না।”—১২ পৃষ্ঠা। ৩২. “কতদিন রহিলেন মিশ্র কল্যাণবরে। গৃহস্থ হৈয়া সুখে প্রভু কৃপাবলে। সে দেশের রাজস্থানে প্ৰভু ইচ্ছা যায়া। একদিন গোসাঞিকে ভকতি করিয়া। করযোড় করি কহে গোসাঞি সাক্ষাতে। চলু যাও মহাশয় পুরব দিগেতে। রাজআজ্ঞা লৈয়া মিশ্র পুত্রাদি সঙ্গে লইয়া।