পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-দ্বিতীয় খণ্ড 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ১২৬ “চুড়ামণির দীর্ঘ” নামে অদ্যাপি খ্যাত আছে। চূড়ামণির দুই পুত্র রামরাম ও বলরাম এই দুই ভ্রাতা হইতে দুইটি শাখায় এবং বংশ বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছে। রামরামের পুত্রের নাম শ্রীরাম ভট্টাচাৰ্য্য, তাহার পুত্র নরসিংহ চক্রবর্তী, রতিদেব চক্ৰবৰ্ত্তী ও রুদ্ররাম বাচস্পতি। ইনি নবাব হরকিষুণ দাস মনসুর উলমুলক বাহাদুর হইতে বার্ষিক ৯০ কাহন কৌড়ির বৃত্তি প্রাপ্ত হন। পরে উক্ত বৃত্তির পরিবৰ্ত্তে ১৮টি তালুক হইতে ৯০/ হাল ভূমি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। উহা অনেক দিন যাবৎ তাহাদের অধিকারে ছিল। রতিদেব চক্রবর্তী ঐ ভূমির শাসন সংরক্ষণ করিতেন, তাহার স্বহস্ত লিখিত অনেক কাগজ পত্র এখনও পাওযা যায়। পরে (বন্দোবস্ত কালে) যখন নিষ্কর তালক জরিপ হয়, তখন ঐ ভূমির অধিকাংশেই কর নিরূপিত হয় এবং অল্পাংশ নিষ্কর রূপে গণ্য হয়। রতিদেবের জ্যেষ্ঠপুত্রের নাম পরশুরাম, তাহার তিন পুত্র হয়, তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠের নাম পুরুষোত্তম, তাহার পুত্র রামশরণ, ইহার পৌত্ৰাদি বৰ্ত্তমান আছেন। তন্মধ্যে শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্র ভট্টাচায িহইতে এই বংশ বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। সনন্দ প্রাপক রমাকান্ত পঞ্চখণ্ড কালাস্থ আর এক সনন্দ প্রাপকের নাম রমাকান্ত তর্কালঙ্কার। ইহার পিতা পরগণা লক্ষ্মীপুর হইতে আসিয়া এই স্থানে বাস করেন। রমাকান্ত নবাব হরকিষুণ দাস মনসুর উলমুলুক বাহাদুর হইতে পঞ্চখণ্ড কালা ও বাহাদুরপুরে এক সনন্দে (নং ১৭৩) ৭।১।৩ ভূমি ব্ৰহ্মত্র প্রাপ্ত হন। ১২০৭ বঙ্গাব্দে তাহার মৃত্যু হইলে তৎপুত্র কালীচরণ ভট্টাচাৰ্য উহা “তছরূপ" করেন। কালীচরণের পৌত্র নিতানন্দ তাহার পুত্র শ্ৰীযুত চন্দ্রমণি ভট্টাচাৰ্য এই ক্ষুদ্র বিষয়টি লিখিয়া পাঠাইয়াছেন।