পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩ দ্বিতীয় অধ্যায় ; বিবিধ বংশের উল্লেখ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত জানা যায় যে, তদীয় পিতামহ রমাকান্ত ভট্টাচাৰ্য পরগণার রাজপণ্ডিত নিযুক্ত হইয়াছিলেন।’ ১১৪০ সালের একখানা সনন্দে ইহার নামে ১৭ ৷০ কাহন কৌড়ি আয়ের উপযুক্ত ভূমি ব্ৰহ্মত্র হইয়াছিল দৃষ্ট হয়। গঙ্গারামের পুত্রের নাম সোণারাম শৰ্ম্ম, তৎপুত্র শুকদেব সিদ্ধান্ত, ইহার পুত্রের নাম হীরাকান্ত ভট্ট, তৎপুত্র কৃষ্ণকান্ত তাহার পুত্র রাজকৃষ্ণ, তৎপুত্র পরম প্রবীণ শ্রীযুক্ত যোগীন্দ্রকুমার ন্যায়রত্ব হইতে আমরা এতদ্বিবরণ সংগ্ৰহ করিয়াছি। পরগণা-চাপঘাট, দেশমুখ্য বংশ মহারাষ্ট্র পরিত্যাগ চাপঘাটের দেশমুখ্য গণের আদি নিবাস মহারাষ্ট্র দেশে ছিল। গাগ্য গোত্রীয় এই দেশমুখ্যগণের পূৰ্ব্বপুরুষ সদাশিব তত্ৰত মাউলী গ্রামে বাস করিতেন। মহারাষ্ট্র-পতির মন্ত্রীসমাজে তিনিও অন্যতম ছিলেন। মহারাজ শিবজীর পুত্র সাহু তাহার প্রতি কোন কারণে বিরক্ত হইয়া প্রদত্ত জায়গীর ভূমি কাড়িয়া লন। সদাশিবি মহাবাষ্ট্র দেশে থাকা সঙ্গত বোধ করিলেন না, স্ত্রী এবং লক্ষ্মীকান্তও রত্নেশ্বর নামক পুত্রদ্বয় সহ তিনি মাউলী পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক বঙ্গদেশে আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং গঙ্গাতীরে নৈহাটর অন্তর্গত কাঠালপাড়া গ্রামে বাস করিতে লাগিলেন।” সদাশিবের সঙ্গে তাহার গৃহদেবতা অনন্তদেব নামক শালগ্রাম ছিলেন। তিনি নিজ সঙ্গে স্বর্ণ রৌপ্যাদি সামান্য যে কিছু অস্থাবর বিত্ত আনয়ন করিয়৷ ছিলেন, তাহা বিক্রয় করিয়া তল্লব্ধ অর্থে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিলেন। এইরূপে কিছুকাল অতীত হইলে, লক্ষ্মীকান্ত ও রত্নেশ্বর পারস্য ও সংস্কৃত ভাষায় অভিজ্ঞ হইয়া উঠিলেন। কিন্তু স্বদেশ ও স্বজন বজ্জন জন্য সদাশিবের মনে কিছুমাত্র সুখ ছিল না, তিনি সৰ্ব্বদাই অনন্তদেবেব অৰ্চনায় বৃত্ত রহিতেন। ঐরাপে তিন বৎসর গত হইলে তিনি গঙ্গাতীরে তনুত্যাগ করিলেন - ব্যযবিশিষ্ট অস্থাবর বিত্ত যাহা ছিল, পিতার ঔদ্ধদেহিক কাৰ্য্য সম্পাদনে তাহার ব্যয়িত হইয়া গেল, পিতৃহীন ও স্বজন-শূন্য ভ্রাতৃদ্বয জীবিকার জন্য চিন্তিত হইলেন এবং নৈহাটী পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক ত্রৈপুর বাজসভায উপস্থিত হইলেন। ঐ সময় পরম ধৰ্ম্মমাণিক্য (১৭৩২ খৃঃ) ত্রিপুরার সিংহাসনে আরূঢ় ১০. বাজপণ্ডিতিব অধিকার পএ (অবিকল নকল)— "শ্ৰীগঙ্গারাম চক্রবৰ্ত্তি সদাশযেযু লিখিতং শ্ৰীসাহবাজপুবের চৌধুরিযান ও কানোনগোই ও পাটোয়াবিয়ান বর্গস্য পত্র মিদং কাজঞ্চি আগে আমবাল পরগণা মজকুবেত পূৰ্ব্বে তুমাব পিতামহেব বাজপণ্ডিতি আছিল এখানেই আমরা বজাবন্দ হৈয়া তুমবে বাজপণ্ডিতি কবহ এতদৰ্থে পত্র লেখিযা দিলাম ইতি সন ১১৫০ সাল তাং ১ কাৰ্ত্তিক।” (এই দলিলের দক্ষিণ পাশ্বে দস্তখত- “শ্ৰীমহামদ ছাদনস, শ্ৰীফলে মাং মাহাম্মদস্য ও শ্রীরাঘব রাম দেবস্য, শ্ৰীগুনমাহাম্মদস্য” এবং একটি পাবস্য দস্তখত আছে। উক্ত নাম চাবিটি যথাক্রমে বাহাদুবপুবের জমিদার শাহবাজপুবের জমিদাব, লাউতাব পুরকাযস্থ বাড়ু হুদাব চৌধুরী দস্তখত।) ১১ ইহাব পূৰ্ব্বে প্রসিদ্ধ শ্ৰীধাপ ও সনাতন গোস্বামীব পূৰ্ব্ব পুরুষ দাক্ষিণাত্যে (কর্ণটরাজ্য) হইতে এই নৈহাটিতেই আসিযা উপনিবিষ্ট হইযাছিলেন, বৈষ্ণব গ্রন্থে লিখিত আছে। ১২ দেশমুখ্যদের বংশতালিকাব একাংশ এই ঃ