পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-দ্বিতীয় খণ্ড 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৬০ ঘটে, তাহাই হইল; বহু সম্পত্তি প্রকাশ্য নীলামে হস্তচু্যত হইয়া পড়িল। হস্তচু্যত ও সম্পত্তির উদ্ধারার্থ বৃথা বহু সম্পত্তি প্রকাশ্য নীলামে হস্তচু্যত হইয়া পড়িল। হস্তচু্যত ঐ সম্পত্তির উদ্ধারার্থ বৃথা বাহুল্য ব্যয়ে নগদ বিত্ত নষ্ট হইয়া গেল। ধনীর সন্তান এইরূপ দীনদশায় হঠাৎ পতিত হইয়া পৈতৃক বাসস্থান পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক বড়লিখাস্থিত কাছারীতে আগমন পূৰ্ব্বক ইহাকেই বাসবাটিরূপে পরিগণিত করিলেন। মনোভঙ্গে লবকিশোরের মৃত্যু হইল, গৌরচরণেরও মৃত্যু ঘটিল; শরচ্চন্দ্র ক্রিয়মাণ হইয়া মানভাবে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। অতঃপর মৃতাবশিষ্ট শরচ্চন্দ্রকে গবর্ণমেন্ট পাটওয়ারি পদ প্রদান করেন; ইহাতে এই ধনী সন্তানের ভরণ-পোষণের যৎকিঞ্চিৎ সাহায্য হইত। পাটওয়ারিগণ পুরকায়স্থ পদবি ধারণের অধিকারী ছিলেন, পূৰ্ব্বেও বলা গিয়াছে। শরচ্চন্দ্রের পুত্রসন্তান হয় নাই; মনুদাসী নামী একমাত্র তনয়াকে সদানন্দ রাহা নামক এক ব্যক্তির সহিত বিবাহ দেন। এই সদানন্দই শ্বশুরের পুরকায়স্থ সনন্দ ও সম্পত্তির অধিকারী হন। সদানন্দের পুত্র স্বগীয় গোলকচন্দ্র রায় পুরকায়স্থ কয়েক বৎসর যাবৎ মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছেন; ইহার পুত্র শ্রীযুক্ত নবকুমার রায় পুরকায়স্থ হইতে আমরা এই বংশবিবরণ সঙ্কলন সম্বন্ধে বিশেষ সাহায্য পাইয়াছি। প্রতাপগড়ের আধুনিক বিবরণ প্রতাপগড়ের প্রাচীন ঐতিহাসিক বিবরণ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের পূৰ্ব্বাংশে বলা গিয়াছে ইংরেজ আমলের অনেক সংবাদও সঙ্কলিত হইয়াছে কিন্তু আমরা প্রতাপগড়ের ভূসংক্রান্ত আরও কিছু বিবরণ প্রদান করিতে প্রতিশ্রুত আছি। এই বৃত্তান্তটি পূৰ্ব্বাংশে সংযোজন-যোগ্য হইলেও একটি বংশ বৃত্তান্তের সহিত জড়িত থাকায় এ খণ্ডই প্রদত্ত হইল। করিমগঞ্জ সবডিভিসনে পাথারকান্দি, তহশীল আফিস, সবরেজিস্টরী আফিস, থানা, কম্বাইণ্ড পোষ্ট আফিস, সরকারি ডাক্তারখানা, স্কুল, বাজার ইত্যাদি সহ একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। প্রতাপগড়ে গবর্ণমেন্টের অনেক এলাম ভূমি আছে এবং তাহাতেই এস্থানে তহশীল আফিস স্থাপিত হয়। প্রতাপগড়ে যেরূপে এলাম ভূমের উৎপত্তি হয়, তদ্বিবরণ সাধারণের সুখপাঠ্য নহে ইহারা পরে (হস্তাবোধের) প্রক্কালে এই সকল তালুকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ৭৩টি তালুকের ভূমি অধিকারিগণ চিহ্নিত করিয়া লন; এগুলি ভিন্ন অবশিষ্ট বৃহত্তম ৭টি তালুক হইতেও তদধিকারিক অনেক ভূমি পরিমাপিত করিয়া চিহ্নিত কবেন, উক্ত চতুঃসীমাবদ্ধ অংশ বাদে উক্ত ৭টি বৃহত্তম তালুকের অবশিষ্ট ভূমি পরস্পর মিশ্রিত থাকায় “বাবান” রূপে নির্দিষ্ট হয়।** “এলাম” কাহাকে বলে এবং কিরূপে তাহার উৎপত্তি হইয়াছিল, শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের পূৰ্ব্বাংশে* –4– ১১. ৭৩টি ক্ষুদ্র তালুকেব অচিহিন্ত ভূমির পরিমাণ ৩৪ । ১৪ ছিল, তাহা চিহ্নিত কবিযা লইলে, বাকি বৃহত্তম ৭টি তালুকের চিহ্নিত ভূমি বাদে অচিহ্নিত ববান ভুমেব পরিমাণ মোট ৩৫৩৬–হাল হয় । উক্ত ৭ তালুকের নামঃ—১নং কর মাং, ৯নং ছচিয়া কাছিম, ১৬নং নজব মাং. ৩৩নং গোলাম আলী, ৩৪নং গোলাম রজা, ৫৩নং সাকির মাং, ৫৫নং মাং মুলাইম। ১২ শ্রীহট্টের পূৰ্ব্বাংশ ২য় ভাগ ৫ম খণ্ড ৩য় অধ্যায় দেখ।