পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৫ প্রথম অধ্যায় : ছয়চিবি ও বরমচালের বাৎস্য u শ্রীহট্টেব ইতিবৃত্ত টিকরার শাখা বংশ রামনারাযণেব পুত্র প্রভাকর বা বামচন্দ্র খা টিকরা গ্রামে গমন করিয়া ছিলেন বলা গিয়াছে, রামচন্দ্র খার জ্যেষ্ঠপুত্র হরিহর খার পুত্রের নাম লক্ষ্মীনাথ খাঁ, তঃপুত্র জিতামিত্র (ওরফে বসন্তরায়), তাহার পুতর জানকীনাথ (অনন্ত বায়), তৎপুত্র রামেশ্বর (খ্যাত কামদেব), ইহার ছয়পুত্র, তন্মধ্যে ২য় ও ৪র্থ পুত্র বংশরক্ষক ছিলেন। দ্বিতীয় পুত্র মাধব রায়েব এক মাত্র পুত্র জয়রাম রায় চৌধুরীর নামে খ্যাত তত্রতা ১নং তালুকের বন্দোবস্ত হয়, ইহার একমাত্র পুত্ৰ সদানন্দেব পুত্রাদি হয নাই। কামদেবের ৩য পুত্র রঘুবামের (খ্যাত বাঘবরাম) চাবিজন পুত্র ছিলেন, তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ বাজীবরাম খ্যাতনামা ব্যক্তি। তিনি নবাব হরকিযুণ মনসুর উল মুলুক হইতে জনাবদার উপাধি সহ উক্ত পবগণাব (সনন্দ নং ১৮৫) কতক ভূমি (পবিমাণ—১৩ ॥০ ৫ ০) দেবত্র প্রাপ্ত হন ১১৭৮ সালে তাহাব মৃত্যু হইলে উক্তভূমি তৎপুত্র গোবি জনাবদারের তছরূপ থাকে। এই গোবিন্দ বামও যে খ্যাতনামা ব্যক্তি ছিলেন, তাহার জনবিদার উপাধি হইতেই তাহা বুঝা যায়। রাজীব রায়ের তৃতীয সহোদয় বামকান্ত এবং উক্ত গোবিন্দ রায়েব যুক্ত নামে দশসনা বন্দোবস্ত করেন। তত্ৰত ২নং “কান্ত গোবিন্দ” তালুকের উৎপত্তি হইয়াছিল। বাজীব বাযেব পাঁচ পুত্র ছিলেন, তন্মধ্যে পূবেবাক্ত গোবিন্দরাম জনাবদার সৰ্ব্ব জ্যেষ্ঠ এবং “জগমোহন” ৪র্থ ছিলেন। জগমোহনেব মাধ্যমে পুত্রেব নাম বৈদ্যনাথ (কামদেব), তৎপুত্র কবি বাধানাথ । পদ্মাপুরাণ প্রণেতা রাধানাথ বাধানাথ শৈশবে পিতৃহীন হইযছিলেন, তাহাব শিক্ষা সংস্কৃ৩ চতুষ্পাঠাব সীমা অতিক্রম কবে নাই। তাই চবিত্রবান পুরুষ ও গ্রামেব অগ্রণী স্বরূপ ছিলেন। তিনি একখানা ‘পদ্মাপুবাণ” সুলিখিত পর্যাবাদি ছন্দে বচনা কবেন, তিনি “শ্রীবামচন্দ্রেব অশ্বমেধ যজ্ঞ’ ও ‘মহিবাবণেব পালা” নামে দুই খানা যাত্রাব পালা বচনা করিযী যশস্বী হইযা গিযাছেন। তিনি স্বযং সঙ্গীত কবিতেও সমর্থ ছিলেন, এই দুই পালা নিজবাড়ীতে দুর্গোৎসবের সময তিনি অভিনীত কবেন। তদ্ব্যতীত এজেলাব বমণীগণেব উপযোগী বহুতব সঙ্গীত বচনা কবেন। এই স্ত্রী-গেয গীতাবলী “বাধানাথ সঙ্গীত’ নামে প্রকাশিত হইযাছে। এই সকল গীত দেবদেবীব লীলাবলম্বনে লিখিত হইযাছে। ইহাতে সঙ্গীত সমষ্টি-১৪৯টি। গ্রাম বমণীগণেব বিবচিত হইলেও গীতগুলি সুন্দব। কবি বাধানাথেব নানাবিধ গুণ ছিল, আযুবেৰ্বদীয চিকিৎসায তাহাব ক্ষমতা ছিল, তদ্ব্যতীত তিনি ভূতাবেশেব চিকিৎসায পাবদশী ছিলেন। বিগত ১২৮৯ সালে র্তাহাব মৃত্যু হয়, তদীয় সুযোগ্য পুত্র শ্রীযুক্ত দ্বাবকানাথ চৌধুবী হইতে আমবা এই বিববণ সহ নিধিপতি বংশীযগণেব প্রামাণ্য অনেকগুলি বংশ তালিকা প্রাপ্ত হইযছি। ইনি পূবেবাক্ত পদ্মাপুবাণ মুদ্রিত ও প্রকাশিত কবিয়া পিতৃকীৰ্ত্তি রক্ষা করিয়াছেন। ১২ শ্রীহট্টের ইতিবুও ৩য ভাগ ঠ পবিশিষ্ট দ্রষ্টব্য। পৰবৰ্ত্তী বংশীযগণেব খা উপাধি ধাৰণা বোধ হয আত্মকৃত। যেমন সাধাৰণতঃ চৌধবীৰ পুএ চৌধুৰী, মজুমদাবেব পুত্র মজুমদাব উপাধি গ্রহণ কবেন ৩দ প।