পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৭ প্রথম অধ্যায় : ছয়চিরি ও বরমচালের বাৎস্য 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত হৃষীকেশ বংশ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের পূৰ্ব্বাংশে সপ্তম অধ্যায়ে বলা গিয়াছে যে, নিধিপতির পৌত্র কনপ কন্দপের প্রপৌত্র দেবচন্দ্র, ইহার প্রপৌত্র কামদেবের মহাদেব নামে এক পুত্র স্থানান্তর গমন করেন; তাহার বাসস্থান “মহাদেবী বড়কাপন” নামে খ্যাত হয়। ইহার বংশধরগণ সসম্মানে বাস করিতেছেন। কামদেবের কয়েক পুত্রের মধ্যে একজনের নাম হৃষীকেশ, ইহার পুত্র রামনাথ, রামনাথের প্রপৌত্রের নাম শ্রীরাম, শ্রীরামের পুত্রের নামও হৃষীকেশ ছিল; ইটার হাড়িয়াবা ঐ গ্রামে হৃষীকেশের বংশীয়গণ বাস কবিতেছেন। এই গ্রামে স্বগীয় রণচণ্ডীদেবীর ধাতুনিৰ্ম্মত এক মূৰ্ত্তি আছেন। শঙ্খ-চক্র অসি-ত্রিশূলধারিণী সিংহবাহিনী এই ত্রিনয়না দেবীমূৰ্ত্তী প্রায় তিনপোয়া হস্ত উচ্চ। হৃষীকেশ বংশীয়গণ বলেন যে ঐ দেবী রাজা সুবিদনারায়ণের পূজিতা, যবন বিপ্লব কালে ঐ মূৰ্ত্তি তাহারা রক্ষা করিয়াছিলেন।” হৃষীকেশের বামনাথ ও শিবনাথ নামে দুই পুত্র হয়, তন্মধ্যে বামনাথের শ্রীকৃষ্ণ ও হরিরাম নামে দুই পুত্র ছিলেন, ইহাদের বংশ বহুবিস্তৃত। হরিরামের পুত্র শুকদেব, তাহার তৃতীয় পুত্র বৈদ্যনাথ। বৈদ্যনাথের পুত্র রাজবল্লভ, তৎপুত্ৰ সৰ্ব্বানন্দ, তাহার পুত্র শিবানন্দ, ইহার পুত্র শ্রীযুত সদানন্দ চক্রবর্তী রাজ-পূজিত পূৰ্ব্বোক্ত বণচণ্ডীর মূৰ্ত্তির সংবাদ সহ এই বিবরণ আমাদিগকে জানাইয়াছেন। ইন্দ্রনারায়ণ বংশ পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, ভানুনারায়ণ রাজোপাধি প্রাপ্তে বাট প্রস্তুত ক্রমে তথায় চলিয়া গিয়াছিলেন ও তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা পৈত্রিক ভদ্রাসনেই অবস্থিতি করেন; ইহার নাম ইন্দ্রনারায়ণ। ইহার পুত্র ভব নারাযণ (শিবনারায়ণ) যখন বিপ্লব কালে ভাটেরায় গমন করিয়াছিলেন। দেশে শান্তি স্থাপিত হইলে তাহা পুত্র দীপনারাযণ ইটাব পৈত্রিক বাসভবনে প্রত্যাগমন করেন; দীপনারায়ণের পুত্র দেবানন্দ সুরানন্দ, দেবানন্দের বংশের সুযোগ্য বংশধর শ্রীযুক্ত কৈলাসচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী এই সংবাদ আমাদিগকে প্রদান কবিয়াছেন। ইহাবা এওলাতলী বাসী; তাহাদের ব্যবসায় মিবাসদারী। দেওযা গেল, যথাঃ—গৌবীনাথ, তৎপুত্র গঙ্গানাবাযণ, তৎপুত্র বামচন্দ্র, তাহাব পুত্র বাম দেব, র্তাহাব পুত্র বাজ কৃষ্ণ, ইহাব পুত্রেব নাম হবকৃষ্ণ, তৎপুত্র কৃষ্ণগোবিন্দ, ইহাব কনিষ্ঠ ভ্রাতা শ্ৰীযুত গৌবগোবিন্দ বিশাবদ হইতে আমবা এই বিবরণ প্রাপ্ত হইযাছি। ১৬ সিদ্ধকালী-মহাদেবী বড়কাপনেও এক প্রস্তবময়ী প্রাচীন কালী মূৰ্ত্তি আছেন, ইনি যে তত্রতা প্রাচীন বংশীযগণেব পবিপূজিত, তাহা সহজেই বোধ হয। জনাবদবেব পুষ্করিণী খনন কালে এই প্রস্তবময়ী মূৰ্ত্তিব “কাঠাম” প্রাপ্ত হওয যায়। দীপরাম কালী মূৰ্ত্তিকে তত্ৰতা রমাকান্ত ন্যায বাগীশেব কবে সমর্পণ করায, তদ্বংশীয়গণ কত্ত্বক তদবধি ঐ কালী যথারীতি অৰ্চিত হইতেছেন।