পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৯৬ বিব্রত হইতে হয়; অনন্যেপায় হইয়া তিনি গ্রাম্য পাঠশালার শিক্ষক নিযুক্ত হন। কিছুদিন পরে তাহা ত্যাগ করিয়া বরমচাল চা বাগানে সামান্য বেতনে একটী কৰ্ম্ম স্বীকার করেন ও নিজেদের কতটুকু জমি ১২০ টাকা বাৎসরিক জমায় বাগানের মেনেজার সাহেবকে পত্তনি প্রদান করেন। তাহার দক্ষতায় সাহেব তৎপ্রতি তুষ্ট ছিলেন এবং অচিরেই তাহাকে ৬০ মাসিক বেতনে বড়বাবুর পদে উন্নীত করেন এবং বাসা খরচের জন্য আরও মাসিক ২০ টাকা দেওয়া নির্দিষ্ট হয় দুর্গাসদয় ১৫ বৎসর এই বাগানে কাজ করেন। অতঃপর তিনি কাৰ্য্যত্যাগ করিয়া গ্রামের দুইজন বৃদ্ধ মোসলমান সহ পরামর্শ ক্রমে গ্রামে একটি পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠা করিয়া গ্রামের উন্নতি বিধানে সচেষ্ট হন। দুষ্ট ব্যক্তি মিত্র হইলেও সপদষ্ট আঙ্গুলীর ন্যায় ত্যজ্য এবং শিষ্ট লোক শক্র হইলেও তিক্ত ঔষধের ন্যায় গ্রহণীয়, ইহাই তাহাদের মূলমন্ত্র ছিল। দুর্গা সদয়ের চেষ্টায় এইরূপে গ্রামের সকল উৎপাতই দূর হইয়া শান্তির আবির্ভাব হয় এবং অচিরেই তিনি লোকের ভয় ও শ্রদ্ধার পাত্র হইয়া উঠেন। সেই গ্রামে হিন্দু ও মোসলমানের মধ্যে ঐক্য ও সৌহাৰ্দ্দ বিশেষ ভাবে বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। ৫১ বৎসর বযসে তিনি মৃত্যু মুখে পতিত হন। শিবানন্দের পুত্র শ্ৰীযুত বৈকুণ্ঠনাথ ভট্টাচাৰ্য লিখিত বৃত্তান্ত হইতে ইহা গৃহীত হইয়াছে।