পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১১ চতুর্থ অধ্যায় লংলা, সতগাও বলিশিরা প্রভৃতি স্থানের ব্রাহ্মণ বিবরণ এ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত শাণ্ডিল্য গোত্রীয়গণ দত্তদের দাতৃত্ব বালিশিরায় আরও অনেক ব্রাহ্মণ বংশের বাস। তন্মধ্যে শাণ্ডিল্য গোত্রীয় রঘুনাথপুরের ভট্টাচাৰ্য্য গণের পূৰ্ব্বপুরুষ মধুসূদন উপাধ্যায় জামশীর দত্ত বংশীয় নিজ শিষ্য ভানুরাম দত্ত সহ এই স্থানে আসিয়া বাস করেন। ভানুরামের পুত্র স্বরূপরাম, তাহার পুত্র পুরুষোত্তম, নবাবের দেওয়ান ছিলেন বলিয়া দেশে খুব প্রতিপত্তি ছিল। গুরুবংশে তখন রঘুনাথ তর্কবাগীশ বৰ্ত্তমান দেওয়ান ইহাকেই এক বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন। কেবল তাই নহে, তাহাকে তিনি ভরণপোষণোযোগী ব্ৰহ্মত্র ভূমি দান করতঃ সেই স্থানকে “রঘুপুর” নামে সংজ্ঞিত করেন। তিনিই শাণ্ডিল্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণদিগকে তত্ৰত্য রাজপণ্ডিতি পাইবার ব্যবস্থা করিয়া দেন। মধুসূদনের বংশ্যাখ্যান রঘুনাথ নিজপুত্র বিষ্ণুদাসকে তিনবৎসরের রাখিয়া পরলোকবাসী হন। আশ্রয়হীনা জননী তখন আপন পুত্রকে লইযা পিত্ৰালয় মাধবপাশায় গমন করেন। মাতামহ তাহাকে বিদ্যা শিক্ষার্থ মিথিলায় প্রেরণ করিয়াছিলেন; তথায় তিনি তর্কপঞ্চানন উপাধি লাভ করেন। বিষ্ণুদাস মিথিলা হইতে দেশে পবে তিনিই তথাকবি সভাপণ্ডিতেব পদ প্রাপ্ত হন। মহারাজ এই নূতন সভাপণ্ডিতকে দেশে এক বৃহৎ পুষ্করিণী সহ বাটী প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন। বিষ্ণুদাসের চারিপুত্র, তন্মধ্যে তিনজন উপাধিধারী পণ্ডিত ছিলেন, ইহাদের নাম-রামজীবন (ইনি সিদ্ধপুরুষ ছিলেন), রামকান্ত শিরোমণি, রূপরাম বিদ্যারত্ব ও দেবীচরণ “বিদ্যাবাগীশ ।” রামকান্তের পুত্রের নাম জানকীনাথ বিদ্যালঙ্কার, ইনি সন্তানাদি বিহীন। বিদ্যালত্বের পুত্রের নাম বলদেব বাচস্পতি; ইনিও পুত্রাদি বিরহিত। বিদ্যাবাগীশের দুই পুত্ৰ—রামচরণ তর্কবাগীশ এবং কালিকাপ্রসাদ বিদ্যাভূষণ। তর্কবাগীশেব পৌত্র শ্রীযুক্ত রামজয় ভট্টাচাৰ্য্য হইতে আমরা এই ক্ষুদ্র বংশ্যাখ্যান সংগ্ৰহ করিয়াছি।