পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৫ পঞ্চম অধ্যায় : আরও কতিপয় বংশ বিবরণ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত পুতিমাস গোত্রীয় ব্রাহ্মণ ত্রিপপ্রবরান্বিত সামবেদীয় পুতিমাস গোত্রের ব্রাহ্মণগণের বংশ সংখ্যা এতদঞ্চলে অধিক নহে। ইটার পূতিমাস গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণ কোথা হইতে কি কারণে শ্রীহট্ট আগমন করেন, জানা যায় না; ইহারাও বালিসহস্র বাসী। এ বংশীয় প্রথমাগত ধনুৰ্দ্ধর পণ্ডিত হইতে এ বংশে বৰ্ত্তমান কাল পর্যন্ত ২৪/২৫ পুরুষ চলিতেছে। সুতরাং অনুমান করা যাইতে পারে যে মোসলমান বিপ্লব কালে উত্তর পশ্চিমাঞ্চল হইতে অনুদ্ধর পণ্ডিত এদেশে আসিয়া থাকিবেন। ধনুৰ্দ্ধর পুত্রের নাম বিদ্যাধর, তৎপুত্র-শ্রীধর; এই তিনজনের পণ্ডিত পদবি ছিল। শ্রীধরের পুত্রের নাম ব্যাসদেব, তৎপুত্র কনিষ্ঠ দেব, ইহার দ্বাদশ পৰ্য্যায় শুকদেব বিদ্যানিবাস নামক একজন পণ্ডিত ছিলেন, তাহার পৌত্র মহেশরাম পঞ্চাননের নামে এই বংশ “মহেশ পঞ্চ নিনের বংশ” বলিয়া খ্যাত হইয়াছে। মহে রামের ৫ম পর্যায়ে তিলক বাচস্পতির উদ্ভব, ইহার জ্ঞাতিভ্রাতা রত্নবল্লভের প্রপৌত্র শ্রীযুক্ত জয়চন্দ্র তর্কভূষণ জীবিত আছেন। পরগণা-ভাটেরা বাৎস্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণ কথা ভাটেরার বাৎস্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণ গণেব পদবি চক্ৰবৰ্ত্তী এবং ব্যবসায় পৌরোহিত্য। এই বংশের আদি পুরুষের নাম শিবানন্দ। শিবানন্দ-বংশের বিবরণ সম্যক পাওয়া যায় না, ১১৬ বাংলার গৃহদাহে তাহাদের অনেক কাগজ পত্র ভস্মীভূত হইযা যায়। রাজারাম সিংহ নামক এক ব্যক্তি গৃহে অগ্নিদান করিয়াছিল। গৃহদাহে সনন্দাদি বিনষ্ট হওয়াতে ইহা পুনঃপ্রাপ্তির জন্য দরখাস্ত দেওয়া হইলে, ১১১৭ বাংলার ১৬ই ফাল্গুন তাবিখে রাজপণ্ডিতি সনন্দ এবং ১১২২ বাংলার ১০ রমজান তারিখে ॥২ কেদর ভূমির ব্রহ্মত্রের সনন্দ পুনঃ প্রদত্ত হয়। শিবানন্দ হতে বৰ্ত্তমানে পঞ্চদশ পুরুষ চলিতেছে। শিবানন্দের বৃদ্ধ প্রপৌত্রের নাম বাণীনাথ শিরোমণি। শিরোমণির বৃদ্ধ প্রপৌত্র রমাপতি বাচস্পতি, ইহার বলভদ্র বাচস্পতি ও রামনাথ বিশারদ নামে দুই পুত্র ছিলেন। রামনাথের পুত্রের নাম রতিকান্ত বিদ্যাভূষণ। বলভদ্রের পৌত্র গিরিধর চক্রবর্তী। ইনি একজন প্রতিভাশালী ব্যক্তি ছিলেন, প্রতিভা বলে তিনি দ্বারবঙ্গের মহারাজের “দ্বারপণ্ডিত” নিযুক্ত হইয়া ছিলেন। ইহার ভ্রাতা শ্যামা নন্দের পৌত্ৰগণ জীবিত আছেন। চক্রবত্তী বংশের কথা ভাটেরার চক্ৰবৰ্ত্তী বংশ তত্ৰত্য পুরকায়স্থ বংশের পুরোহিত। চৌধুরী বংশের পৌরোহিত্য, ভট্টাচাৰ্য পদবিশিষ্ট ব্রাহ্মণগণ কত্ত্বক সম্পাদিত হইয়া থাকে। ভট্টাচার্য বংশে এক সময় অনেক পণ্ডিতের উদ্ভব হইয়াছিল। ভাটেরার চৌধুরী বংশীয়গণ একেবারে জোড়ে নৌকাপূজা করেন, অনেক ৫ বালি সহস্র বাসী শ্ৰীযুত কালীকুমার ভট্টাচাৰ্য্য এই বিববণ প্রেরণ কবিযাছেন। বশিষ্টদেব হইতে ইহাদের নামাবলী যথাক্রমেঃ—অনন্ত বামকৃষ্ণ, হৃদযানন্দ, বামশঙ্কব, শ্রীহরি, শ্রীকৃষ্ণ, বামভদ্র, রামজীবন, বঘুনন্দন, হবিকাস্ত, শুকদেব, বাঘব, মহেশরাম, কামদেব, জগন্নাথ, জযকৃষ্ণ, রতুবল্লভ, বাজকৃষ্ণ, অভয়াচরণ, জযচন্দ্র তর্কভূষণ। এই বিস্তুত ও প্রাচীন বংশের একটি ধাবার ক্রামানুযায়ী নাম এস্থলে লিখিত হইল।