পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২৫৪ বিবরণ সংগৃহীত হইয়াছে। শ্রীচন্দ্র রায়ের জ্যেষ্ঠপুত্র হরবল্লভের বংশীয়গণও তথায় অবস্থিতি করিতেছেন। পরগণা-ভাটেরা চৌধুরী বংশ কথা শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের পূৰ্ব্বাংশে আমরা ভাটেরার তাম্রশাসন প্রকাশ করিয়াছি, তত্ৰত্য দেবচৌধুরী বংশীয়গণ ভাটেরার “হোমেরটালা” ইত্যাদি স্থানের অধিকারী। এই স্থানে “রাজবাড়ীর টীলা", “ইটের টীলা” প্রভৃতি বিভিন্ন নামে যে সকল শৈব খণ্ড আছে, তন্মধ্যে ইটের টীলাতেই সেই তাম্রফলক প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছিল; হোমের টীলা তাহার প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থিত। তাম্রফলক প্রথমতঃ তত্ৰত্য দেববংশীয় কাশীচন্দ্র চৌধুরীর হস্তগত হয়। র্তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা জগচ্চন্দ্র দেব চৌধুরীই কাশীচন্দ্র চৌধুরীর হস্তগত হয়। র্তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা জগচ্চন্দ্র দেব চৌধুরীই উহা সাধারণ্যে প্রকাশ করেন। এই অতি প্রাচীন তাম্রফলকদ্বয় উক্ত কাশীচন্দ্রের পুত্র শ্রীযুক্ত মহেন্দ্রকুমার দেব চৌধুরীর নিকট আছে। নামে পরিচিত কয়েকটি স্থান আছে। সবর্বসাধারণে প্রচলিত স্থানীয় প্রবাদমূলে এই স্থানে গৌড়গোবিন্দ রাজার বাড়ী ছিল।’ বিভিন্ন স্থানে গৌড়গোবিন্দের সম্বন্ধ এক স্থানের কোন একটা প্রধান ঘটনাকে স্থানান্তরের অপর প্রধান ঘটনা সহ জুড়িয়া দেওয়ার উদাহরণ আমরা বহুস্থানে পাইয়াছি, এই ইতিবৃত্তেই পাঠক তাহা স্থানে স্থানে পাইবেন। ভাটেরায়ও যে গৌড়গোবিন্দের সম্বন্ধ তদ্রুপেই সূচিত না হইয়াছে এমন বলা যায় না। পরস্তু গৌড়গোবিন্দের সময়ে এস্থানেও শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, হয়তঃ তখন এই স্থানে তাহার রাজকীয় নামে কোন কোন স্থান খ্যাত হইয়াছে। গৌড় গ্রাম ও সাতপারি দীর্ঘী গৌড়গোবিন্দের রাজকীৰ্ত্তি শ্রীহট্ট শহর ব্যতীত অন্যত্র যে ছিল না, তাহা নহে। বিশ্বনাথ থানার এক মাইল উত্তরে ‘গৌড়গ্রাম” নামে এক পল্লী আছে, এই স্থানে গৌড়গোবিন্দের এক বাটিকা ছিল, তাহাতেই সে স্থান গৌড়গ্রাম নামে খ্যাত হইয়াছে। রাজবাটির ভগ্নাবশেষের পরিচিহ্ন গৌড়গ্রামেব ১৬ ইটের টালায় পুৰ্ব্বাবধি ইষ্টক দৃষ্ট হইত, অথবা খননে ইষ্টক বহির্গত হইয়াছিল বলিয়া বোধ হয ইহার এই নাম হইযা থাকিবে। হোমের টালায় তাম্রফলক পাওয়া গিয়াছিল বলিয়া পূৰ্ব্বে অযথা লিখিত হয়। ১৭. আসিয়াটিক সোসাইটীর জর্ণালে ভাটেরার তাম্রফলকসহ গৌড়গোবিন্দেবসম্বন্ধ থাকার বিষয় ডাঃ বাজেন্দ্রলাল মিত্র বর্ণন করিয়া যে গুরুতর ভ্রমে পতিত হন, জনসাধারণে প্রচলিত ভাটেরায় গৌড় গোবিন্দ সম্বন্ধীয় এই জনশ্রুতিই সম্ভবতঃ তাহার মূল।