পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৯ অষ্টম অধ্যায় ; বিবিধ স্থানের বিভিন্ন বংশ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত রামচন্দ্রের অবৰ্ত্তমানে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রাণবল্লভ কানুনগো নিযুক্ত হন। প্রাণবল্লভের মৃত্যুর পর র্তাহার পুত্র জগদ্বল্লভ “সরবরাহির” অনুপযুক্ত ছিলেন। হরিবল্লভের পুত্র রাজবল্লভ (জগদ্বল্পভের খুল্লতাত ভ্রাতা) তখন নিজ পুত্রের নামেই সরবরাহি প্রার্থনা করেন এবং তাহাতে তৎপুত্র রামপ্রসাদ কানুনগোই সনন্দ প্রাপ্ত হন। এ সনন্দ যে ইংরেজ আমলের নিযুক্ত নবাব প্রদত্ত, সনন্দেই তাহার নিদর্শন আছে। রামপ্রসাদের কনিষ্ঠ পুত্রের নাম কৃষ্ণগোবিন্দ তৎপুত্র শ্ৰীযুত কুঞ্জগোবিন্দ মিত্র কানুনগো বৰ্ত্তমান আছেন। এ বংশের ইষ্টদেবতা স্বগীয় বাসুদেবের “সেবায় ব্যয় বাবত” পূজক গঙ্গারামের নামে দুইখানা (নং ১১০/১১১) সনন্দে যথাক্রমে ১৮ টাকা ও ১০ টাকা বৃত্তি মঞ্জুর ছিল। গঙ্গারামের পুত্র ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত উহা আদায় করেন। তাহার মৃত্যুর পর উহা রহিত হইয়া যায়। পূৰ্ব্বোক্ত জগদ্বল্লভের পুত্র খুশাল রায় এবং তৎপুত্র রাধাগোবিন্দের যুক্ত নামে তালুক আছে। রমাপ্রসাদের জ্যেষ্ঠ পুত্র গঙ্গাপ্রসাদের প্রপৌত্র ডাক্তার শ্রীযুক্ত গুরু প্রসাদ মিত্র হইতে আমরা তাহার পূববপুরুষ প্রাপ্ত দলিলাদির নকল ও বিবরণ প্রাপ্ত হইয়াছি। অর্থাৎ ইহাই লেখকের দস্তখত। দলিলের পৃষ্ঠদেশ "উগাহি”“ধনঞ্জয় মিত্র, গঙ্গা হরিদাস” প্রভৃতি ১০ ব্যক্তির নাম এবং “হস্যাদি” উল্লেখে “পুরুষোত্তম শৰ্ম্মা” নামটি এবং “সাক্ষি” উল্লেখে “বামদেব শৰ্ম্মা"র নাম আছে। তদ্বাতীত পৃষ্ঠদেশেও দুইটি পারস্য দস্তখত আছে। দলিল খানা যেমন লিখিত, বর্ণাশুদ্ধি সহ অবিকল তদ্রুপই উদ্ধৃত করিয়া দিলাম। ২৬ সনন্দের মৰ্ম্মানুসারে ইহা লিখিত হইল,বাহুল্যবোধে বৃহৎ পারস্য সনন্দের বঙ্গানুবাদ দেওয়া গেল না:সানন্দে “তয়ে ইজ্জতাবাদ ও তল্পে উত্তবভাগ মোতালিকে পরগণে লংলার কানুনগো পদের লিখিত আছে ৩৩ জলুসে উক্ত সনন্দ প্রদত্ত হয়।