পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ২৬২ নবাব নোয়াজিস মোহাম্মদ খা বাহাদুর হইতেও তিনি অনেক ভূমি “মদতমাস” স্বরূপ প্রাপ্ত হন। বাজার এখনও আছে। ১১৮১ সালে র্তাহার মৃত্যু হয়। “এইরূপ নানাবিধ কীৰ্ত্তিকলাপ বিদ্যমান রাখিয়া সুখ্যাতির সহিত নবাব প্রদত্ত জায়গীর ভোগকরতঃ মোহাম্মদ আলী খাঁ নামে একটি সুযোগ্য পুত্র রাখিয়া দানীশমন্দ পরলোক গমন করিলে।” উক্ত মোহাম্মদ আলীই সম্পত্তির একমাত্র অধিকারী হন। মোহাম্মদ আলী পিতার মৃত্যুর পূৰ্ব্বেই (১১৭৯ বাংলায়) শ্রীহট্টের সদরে নায়েব কাজির পদ প্রাপ্ত হন এবং ৩/৪ বৎসর সদরে কার্য্য করিয়া তরফের কাজির পদে অধিষ্ঠিত হন। “১১৯৯ বাংলার মৌলবী মোহাম্মদ আলী খান নাগা ও কুকিদের বিদ্রোহ” দমনে বিশেষ সহায়তা করিয়াছিলেন। “ইহাতে ইংরেজ গবর্ণমেন্ট ও তৎকালীন সম্রাট (২য়) শাহআলাম বাহাদুর সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে বিনা পাশে বন্দুক ব্যবহার করিতে ও কতক সৈন্য রাখিতে অনুমতি দেন এবং আরও কতক জায়গীর পুরস্কার স্বরূপ প্রদান করেন। ১২২৫ বাং অব্দে ঐ জায়গীর মধ্যে কতক বাজেয়াপ্ত হইয়া কর ধাৰ্য্য হয়।” গৌস আলী ও তৎপরবর্তীগণ ইহার পুত্র মৌলবী গৌস আলী খা। ইনি বৃটিশ গবর্ণমেন্ট হইতে হাল ভূমি নিষ্কর বলিয়া প্রাপ্ত হইয়াচিলেন। প্রসিদ্ধ সিপাহী বিদ্রোহের সময় চট্টগ্রামের বিদ্রোহিগণ লংলায় উপস্থিত হইয়া ইহার নিকট হইতে রসদ আদায় করিয়া লইয়াছিল। এইজন্য গোঁস খাকে পশ্চাৎ নিৰ্দ্দোষিত প্রমাণ দিতে বিশেষ বেগ পাইতে হইয়াছিল। মৌলবী গৌস আলী খাঁ অতিশয় ধৰ্ম্মভীরু ও সচ্চরিত্র ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কোন দুরভিসন্ধিজনিত দোষ-সংসৃষ্ট ছিলেন না। বিচারের দিন সহস্ৰ সহস্র প্রজা শ্রীহট্ট শহরে উপস্থিত হইয়াছিল এবং তাহারা উৎকণ্ঠার সহিত আদেশ শুনিতে অপেক্ষা করিতেছিল। পরে তিনি নির্দোষ প্রতিপন্ন হইলে তাহারা উৎফুল্লচিত্তে গৃহে ফিরিয়াছিল। ইহার পুত্রের নাম আলী আহম্মদ খা। ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দের লুশাই সময়ে গবর্ণমেণ্টের সহায়তা করায় গবর্ণমেন্ট র্তাহাকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। শ্রীহট্ট শহরে তাহার নিৰ্ম্মিত চারটি পাকা কুঠি ছিল, বিগত ভূকম্পে তাহা ভূমিসাৎ হইয়া গিয়াছে। একদা ত্রিপুরার মহারাজ সহ সাক্ষাৎক্রমে তিনি মহারাজকে বহুমূল্য এক ছুরিকা উপহার দিয়াছিলেন। মহারাজও তাহাকে আদর সহকারে গ্রহণ করিয়া আপ্যায়িত করিয়াছিলেন। তিনি হস্তীখেদা করিতে ৫ খ্ৰীহট্টের উক্তনবাব এক সনন্দে (নং ৬০৭) ১৭৬২ খৃষ্টাব্দে রাজনগর, কৰ্ম্মধামুকুন্দপুর হইতে তাহাকে৮৭৫/০ হাল ভুনি মমদতমাস স্বরূপ দান করেন; ঐ সনেই অন্য এক সনন্দে (নং ৬০৮) তিনি লংলা ও কৰ্ম্মধা হইতে আও ১০০/০ হাল ভূমি মদতমাস প্রাপ্ত হন। S. Hunter's Statistical Accounts of Assam VOL'll (Sylhet) p. 130 go শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পুৰ্ব্বাংশ ২য় ভাগ ৫ম খণ্ড ৩য় অধ্যায়ে এ প্রসঙ্গ দৃষ্ট হইবে।