পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয ভাগ-চতুর্থ খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২৮৮ শ্যামরায়, তৎপুত্র রত্নবল্লভ। বতুবল্লভের চারিপুত্র, ইহাদের নাম রঘুনন্দন, রামকৃষ্ণ, সীতারাম ও হরেকৃষ্ণ। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে রঘুনন্দন দিল্লী গমন করিয়া বাদশাহ দরবারে কোন এক কাৰ্য্যে নিযুক্ত হন ও কিছুকাল মধ্যেই অনেকের পরিচিত হইয়া উঠেন। ইনি স্বীয় ক্ষমতায়, নরপতির করেন, তাহার নামেই সেই ভূখণ্ড “রঘুনন্দন” পরগণা বলিয়া খ্যাত হয়। দশসনা বন্দোবস্তের সময় এই পরগণার দুইটি মাত্র তালুকের সৃষ্টি হইয়াছিল, তন্মধ্যে ১নং তাং রঘুনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই বন্দোবস্ত হয়। ঠিক এই সময় বৃদ্ধ রঘুনন্দনের সহিত র্তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা হরেনাম ও ভ্রাতুষ্পপুত্র রামচন্দ্র এবং সদারায়ের মনান্তর হওয়ায় ভূসম্পত্তি বিভাগিত হইয়া চিহ্নিত “বাটুয়ারা” হয়। রঘুনন্দনের পুত্র রাজনারাযণ ত্রিপুরার মহারাজ ঈশানচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুরের মন্ত্রণা সভার পারিষদ ছিলেন। মহারাজপ্রদত্ত একটি তালুক মনতলায় এখনও তাহার নাম ঘোষণা করিতেছে। পরবর্তী বংশীয়গণ মধ্যে বামচন্দ্র পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন এবং তৎপুত্র কালীশঙ্কর একজন মল্ল বলিয়া পরিগণিত হইয়াছিলেন, তাহার আহারও তদনুরূপ ছিল। মোনশী গৌরীকান্ত আরবি ভাষায় সুবিজ্ঞ ছিলেন। আমাদের বিববণ প্রদাতা শ্ৰীযুত যোগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস লিখিয়াছেন যে, এই বন্দ্যোবংশীয় ব্রাহ্মণবর্গ বৰ্ত্তমানে বিশ্বাস উপাধি ধাবণ করিয়াছেন। ইহাদের মধ্যে অনেকেই মোসলমান জমিদাবের অধীনে কাৰ্য্য করিযা এই উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। যাহারা জমিদার গৃহে কাৰ্য্য কবেন নাই, তাহারা বন্দ্যোপাধ্যায় বলিয়াই পরিচিত ছিলেন, বৰ্ত্তমানে একজন মাত্ৰ-তিনিও অপুত্রক-সেই উপাধি ধারণ করিতেছেন। এই বংশীয়গণ এখনও রঘুনন্দন পরগণায় বাস করিতেছেন। নরপতিনামে যে ভূস্বামী রাজপণ্ডিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনয়ন করিয়াছিলেন, তাহার বংশ নাই। পরগণা-বেজোড়া বেজোড়ার বিশারদ বংশ পরগণা বেজোড়ার নামকরণ সম্বন্ধে তরফের বিবরণে একটি শোকাবহ ঘটনার উল্লেখ পূৰ্ব্বে করা গিয়াছে। বেজোড়া পরগণার নিজ বেজোড়াবাসী কাশ্যপ গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণের আদিপুরুষের নাম অচ্যুতানন্দ। এ বংশে ইনিই প্রথম শ্রীহট্টে আগমন করেন ও বেজোড়াবাসী হন। ইহার পুত্রের নাম কংসারি, তৎপুত্র রামচন্দ্রের বাসুদেব, রতিদেব ও রঘুদেব নামে তিন পুত্র হয়, তন্মধ্যে রতিদেবের বংশই সুবিস্তৃত। கம் রতিদেবের দুই পুত্র, লক্ষ্মীকান্ত ও বমানাথ বিশারদ। রমানাথ এই বংশের এক অত্যুজ্জল রত্ন। অলোক-সামান্য মহিমাদর্শনে অনেক সন্ত্রান্ত ব্রাহ্মণ বংশ তদীয় শিষ্যত্ব গ্রহণ করিযাছিলেন। কেবল শ্রীহট্ট জেলা নহে ত্রিপুরা, ময়মনসিংহ, এমন কি পরস্পরা সম্পর্কে চট্টগ্রাম হইতে কলিকাতা পৰ্য্যন্ত ২. শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২য় ভাগ ২য় খণ্ড ৫ম অধ্যায় দেখ।