পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-চতুর্থ খণ্ড 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ২৯৪ রতিনাথ এবং তাহার পুত্রের কথা সংসার-স্পৃহা-রহিত রতিনাথ শ্রীধরচক্রের অচ্চনা করিতেন, নিৰ্ব্বিঘ্নে দেবাচ্চনার জন্য তিনি গৃহত্যাগপূবর্বক, সুবেদার পদারূঢ় শেখ মোহাম্মদ নামক জনৈক সৈনিকের পুষ্করিণী দক্ষিণ-দিশ্বৰ্ত্তী জঙ্গলে স্ত্রীর সহিত গমন করেন। জঙ্গলে গিয়া তিনি একখানা ক্ষুদ্র পর্ণ-কুটীর স্বয়ং প্রস্তুত করিয়া, স্ত্রীপুরুষ শ্রীচক্রেব আরাধনা করিতে লাগিলেন। তথায় এক ক্ষুদ্র আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হইল। প্রাচীন ঋষি পত্নীর ন্যায় রতিনাথের স্ত্রী বন্য পুষ্পাদি আহরণ করিয়া দিতেন, সেবার আয়োজন করিতে, রতিনাথ শ্রীধরের অর্চনাতেই কালাতিবাহিত করিতেন। এইরূপে কিছুকাল অতীত হইলে রতিনাথের পত্নী গর্ভবতী হইলেন; সেই বনশ্রমে এই সাধুদম্পত্তি হইতে সুবিখ্যাত কেশব লালের উদ্ভব। কেশবলাল এক আশ্চর্য শিশু। কেশবলালের চারুচরিত্র অচিরকাল মধ্যে চতুষ্পাশ্ববৰ্ত্তী জনসমূহ গান করিতে এবং তাহাকে তাহারা “গোস্বামী’ নামে আখ্যাত করিত; তদবধিই এই শাখার বংশধরগণ গোস্বামী উপাধিকারী। এই মহাত্মার চরিত্র কথা আমরা ৪র্থ ভাগে উল্লেখ এবং ১৩নং তালুকের বন্দোবস্ত হইয়াছিল। কেশবলালের পুত্রের নাম মুক্তালাল গোস্বামী। ইহার জন্ম হইলেই কেশবলাল হঠাৎ কোথায় চলিয়া যান। কেশবলালের অভাবে গ্রামবাসী সকলেই ক্লিষ্ট হয়, কিন্তু কোথাও তাহাকে পাওয়া যায় নাই। পিতৃহীন মুক্তালাল তখন সকলেরই সহানুভূতি প্রাপ্ত হন, কালক্রমে বহুলোক কেশব-তনয়ের নিকট হইতে মন্ত্রগ্রহণ করিয়াছিল, তিনি স্বগুণে সকলেবই শ্রদ্ধাকর্ষণ করিয়া যশস্বী হন। মুক্তালাল কানাইলাল বিগ্রহ স্থাপন করেন ও গোস্বামী খ্যাতিতে পরিচিত হন। | | { | | শ্যামানন্দ হংসলাল কমলাকান্ত বামশবণ পদ্মলোচন Ο ব্ৰজনাথ পীতাম্বব প্রভৃতি রামমোহন | | | | | জলধব চূড়ামণি বামকৃষ্ণ বিদ্যাঃ স্বরূপ বেহাৰীলাল পুলিনচন্দ্র বাধামোহন (বংপুব গমন) নিবাস গোস্বামী پص=Lم ভাবতচন্দ্র বনওয়ারীলাল মথুলানাথ | জগৎচন্দ্ৰ গোস্বামী (ক) ইহাব বংশ ইন্দেশ্বববাসী বলিয়া কথিত । (খ) ইহাব বংশ ঢাকাদক্ষিণবাসী বলিযা কথিত । (গ) ইনি এক দৈবজ্ঞ কমা বিবাহ কবিঘা তবফবাসী হন।