পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০১ তৃতীয় অধ্যায় ; বিবিধ বংশীয় ব্রাহ্মণ বিবরণ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত গৌরীকান্ত বিদ্যানিবাস-গৌবীকান্ত অসাধারণ সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন; তিনি দিনারপুর, আথানগিরি, পাচাউন প্রভৃতির “রাজপণ্ডিতি” প্রাপ্ত হন। ইহার সময় হইতে এই বংশীয়গণ ভট্টাচাৰ্য আখ্যা ধারণ করিতেছেন। কৃষ্ণদেব বিদ্যালঙ্কার-বিদ্যালঙ্কার এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন। নবাব শমশের খাঁ বাহাদুর ইহাকে এক সনন্দে (নং ৬২২) দিনারপুর হইতে ২২/২।১।০ জমি ব্ৰহ্মত্র দান করেন; তাহার মৃত্যুর পর তৎপুত্র কৃষ্ণচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য ইহা তছরূপ কবেন। এই কৃষ্ণচন্দ্রও একজন গুণী ব্যক্তি ছিলেন, কৃষ্ণচন্দ্রের পুত্রের নাম সদাশিব বলিয়া সনন্দের প্রতিলিপির মন্তব্যে লিখিত আছে। সদাশিব একজন বাকসিদ্ধ ও মিতবাক পুরুষ ছিলেন এবং যখন যাহা বলিতেন, তাহ অব্যর্থ হইত। ইহার গুণে আকৃষ্ট হইয়া মিরাশী ও রিচির বহু সন্ত্রান্ত ব্যক্তি র্তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করেন। রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ—বিদ্যাবাগীশ একজন উৎকৃষ্ট নৈয়ায়িক পণ্ডিত ছিলেন, শ্রীহট্টের জনৈক নবাব হইতে তিনি ১০/০ দশহাল ভূমি নিষ্কর প্রাপ্ত হন। নবাব নজীববালী খাঁ বাহাদুরের ৩০ জলুস ২৬ সাবান তারিখযুক্ত সনন্দে (নং ৯৯) তিনি দিনারপুর, আগনা ও জনতরি হইতেও মোট ৮।২৪৮ ভূমি ব্ৰহ্মত্র প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। মাধবচন্দ্র তর্কবাগীশ ও চণ্ডীচরণ ন্যায়রত্ন-ইদানীং এই দুই-ব্যক্তি এই বংশে বিখ্যাত হইয়া উঠিয়াছিলেন। মাধবচন্দ্র বহুদিন দেশে অধ্যাপনা করেন ও শেষ জীবনে রংপুর গমন করিয়া বামণডাঙ্গায় রাজবাড়ীতে “দ্বারপণ্ডিত” নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ন্যায়রত্ন সংস্কৃত ভাষায় কবিতা লিখিতে দক্ষ ছিলেন, কিন্তু তাহার রচিত কোন কবিতা পাওয়া যায় নাই। মাধবচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রীযুত মাহেন্দ্রচন্দ্র কাব্যসাংখ্যতীর্থ হইতে এই বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে।