পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-চতুর্থ খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৩০৮ তরফ কাছারীর লালারাম সিংহ শিকদারের সহিত খোন্দকারের এরূপ আত্মীয়তা ছিল যে, তিনি তরফে হিন্দুদের অর্চনার জন্য যেমন কালীমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তেমনই মোসলমানদের উপাসনার জন্য এক মসজিদ প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন। এই কালীই তরফেশ্বরী নামে খ্যাত হন, ইহার কথা এ খণ্ডের সৰ্ব্বপ্রথমেই কথিত হইয়াছে। শিকদারের কৃত মসজিদটি বিগত ভূকম্পে বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে। গঙ্গাগোবিন্দের পত্নী রামপ্রিয়ার নাম উল্লেখযোগ্য। গঙ্গাগোবিন্দের অনুপস্থিত কালে খোন্দকার গঙ্গাগোবিন্দের বাসগ্রাম ও তৎসন্নিহিত স্থান আত্মসাৎ করিতে উদ্যত হন। তখন এই তেজস্বনী বুদ্ধিমতী রমণীর বুদ্ধির কাছে খোন্দকারের কূট কৌশল ও জনবল বিফল হইয়া যায়, তিনি অকৃতকাৰ্য্য হন। দৈব-কৃপা গঙ্গাগোবিন্দ বহুকাল মুর্শিদাবাদে অবস্থিতি করিয়া সম্পত্তির উদ্ধার সাধনের সুবিধা করিতে সমর্থ হইলেন না। তখন তিনি দৈবের উপব সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া বহিলেন। দৈবাৎ এই দৈবের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া রহিলেন। দৈবাৎ এই সময়ে একজন সন্ন্যাসীর সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয়, তিনি সন্ন্যাসীকে সমস্ত জ্ঞাত করিয়া দৈবকৃপা প্রাপ্তির জন্য কিছু করিতে অনুরোধ করেন; উক্ত সন্ন্যাসী তাহার অভিপ্রায় মত এক কালী মূৰ্ত্তির অর্চনা করেন। পূজায় কোনরূপ বিঘ্ন উপস্থিত না হওয়ায় সন্ন্যাসী অষ্টচিত্তে র্তাহাকে বলেন যে, অচিরাৎ তিনি কৃতকাৰ্য্য হইবেন। বাস্তবিক তাহাই হইয়াছিল, সত্বরেই তিনি অভীষ্ট ফললাভে সেই কালীমূৰ্ত্তি লইয়া দেশে প্রত্যাগমন করেন। ঐ সময়ে জাহাঙ্গীর নগরের (ঢাকার) তহশীলদার মোহাম্মদ আলী খাঁর প্রেরিত “সোয়াব” (অশ্বারোহী) আসিয়া তাহার জমিতে দখল দিয়া যায়। ইহার অল্প পরেই তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। পতির পরলোক গমনের পর রামপ্রিয়া প্রাণষ্ট সম্পত্তিব উদ্ধাব কবেন। গঙ্গাগোবিন্দের পুরুষানুক্রমিক প্রাপ্ত জাযগীর-ভূমি দশসনা বন্দোবস্ত কালে “৬নং তাং গঙ্গাগোবিন্দ” নামে অখ্যাত হইয়াছে।” গঙ্গাগোবিন্দের জ্যেষ্ঠপুত্র কৃষ্ণগোবিন্দ পিতৃক্ষমতা প্রাপ্ত হন, কিন্তু কানুনগোদের প্রাপ্য দাবি হইতে বঞ্চিত হইয়া, তৎপরিবৰ্ত্তে “রসুম” উল্লেখে নিরূপিত কতক মুদ্রা পাইতেন ও “সরঞ্জামীখরচ” বলিয়া সরকার হইতে আরও ৫৮ /০ আনা পাওয়া যাইত। কৃষ্ণগোবিন্দের পুত্র গোপালকৃষ্ণ অল্প কয়েকদিন ইহা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এই মহাত্মার মৃত্যুর পর হইতেই এ বংশের অবস্থা অনেকটা মলিন হইযা পড়িয়াছে। সুঘরের “পাচঘরিয়া” মজুমদারেব জ্যেষ্ঠতনয়-বংশে স্বগীয় ঈশানচন্দ্র মজুমদারের উদ্ভব হয়, ঈশানচন্দ্র এ বংশের অলঙ্কারস্বরূপ ছিলেন; তিনি স্বধৰ্ম্মনিরত, সদনুষ্ঠান পরায়ণ ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি ছিলেন। এই মহাত্মা যুব-জনোচিত উৎসাহে আমাদিগকে তরফের এ সব বিবরণ প্রদান ছিলেন, শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তেব ২য ভাগ ২য় খণ্ড ৬ষ্ঠ অধ্যানে পাঠক ইহাব উল্লেখ পাইয়াছেন। বাম শিকদার উক্ত কৃষ্ণ BBBBB BBBB BBBBB BBB BBBB BB BB BBBB SCBBBBBS BB BBBBBBS BB BBB লামশ্রীতে বিয়াজুব বহমান ছিলেন। (পরবর্তী ৭ম অধ্যায় দেখ।) ১০ এই তালুকেপ ভূ-পরিমাণ ৭৩৬/০ হাল এব- বাঙাস্ব ৫৭৯/২ পাই।