পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয ভাগ-চতুর্থ খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৩২৮ সাহা জাতীয় খেলারাম রায়েব কথাই বলিতেছি। ধনৈশ্বৰ্য্যে খেলারাম অল্প সময় মধ্যে জলসুখাতে সবর্কাগ্র গণ্য হইয়া উঠেন। খেলারামের অনুকরণে সাহাবণিক শ্রেণীর আরও দুই ব্যক্তি সংসার-সংগ্রামে বিজয়লাভ কবেন, তাহাদের নাম লাখু রায় ও উছব রায়। লাখু রাযও বুদ্ধিবলে অচিরকাল মধ্যে প্রভূত ধনের অধিকারী হইয়া উঠেন, তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম জলসুখায় কোঠাবাড়ী প্রস্তুত করেন; অদ্যাপি সে বাড়ী ‘দালানিয়া বাড়ী” নামে খ্যাত আছে। বিদ্যাশিক্ষার উদ্দেশ্যে ভারতীয় ছাত্রমণ্ডলী মধ্যে সৰ্ব্বপ্রথম যিনি জাপান গমন করিয়াছিলেন, সেই রমাকান্ত রায় এই বংশীয় ছিলেন; ৪র্থ ভাগে তাহার জীবনীর ২/১টি কথা বলা যাইবে । উছব রায় স্ব-অজ্জিত সমস্ত অর্থই ভূসম্পত্তিক্রয়ে ব্যয় কবেন; ইহাতেই তাহার বুদ্ধির প্রাখৰ্য্য বুঝিতে পারা যায়; ইহার পৌত্র গোবিন্দচান্দ রায় একজন প্রবল প্রতাপশালী জমিদাব ছিলেন। গোবিন্দচান্দ রায়ের সদ্ব্যয় অনেক ছিল, জলসুখার নরসিংহের আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা তিনিই। ঐ আখড়াব সেবাব্যয় নিৰ্ব্বাহাৰ্থ তিনি বার্ষিক ৪০০ শত টাকার বৃত্তি নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন। খেলারামের বংশকথা খেলারাম রায় ঘূতের ব্যবসাযে ও অধমণদিগকে ঋণদান করিয়া, তাহার আয় দ্বারা প্রভূত ধন অজ্জন কবেন। তিনি সদ্ব্যয়ে মুক্ত হস্ত ছিলেন, এজন্য সকলেই তাহাকে আশীববাদ করিত। তিনি কেবল পবেব সাহায্য জন্য কতকগুলি চাকর নিয়োজিত করিযা বাখিয়াছিলেন। ইহারা পীড়িত ও নিতান্ত দীন ব্যক্তিদিগকে নানাকার্যে সহাযতা করিত। তিনি সকলকে বলিয়া দিয়াছিলেন, যে কেহ “দুগ্ধ, ঘৃত বা চিনি চাহিলে অকাতরে দান করিও, কিন্তু তরি তবকবি চাহিলে দিও না।” তাহার এই বাক্যটি সদুদ্দেশ্য পূর্ণ। অলস ব্যক্তিকে তিনি ভালবাসিতেন না; শাক সক্তি একটু পরিশ্রমে সকলেই উৎপাদন কবিতে পারে; কিন্তু ঘুত, দুগ্ধ বা চিনি আহবণে সকলে সমর্থ হয না; দবিদ্রকে তাহাদের দুপ্রোপ্য ঘৃত দুগ্ধাদি চাহিলে দেওয়া উচিত; কিন্তু শাক সজ্জি দিয়া অলস করিযা তুলা কৰ্ত্তব্য নহে। তাহার পাঁচ পুত্র হয়, তন্মধ্যে রাজকিশোব রায় পিতার ন্যায় সদ্ব্যয়ী ছিলেন; তিনি বৃন্দাবনে এক কুঞ্জ, কাশীতে এক বাড়ী, ও নবদ্বীপে হরিসভাব মন্দিব প্রস্তুত করিয়া দিয়াছেন। ঢাকাদক্ষিণের শ্ৰীমহাপ্রভুর বাড়ীতেও তাহাব অনেক নিযমিত ও নিরূপিত দান ছিল। মৃত্যুকালে সদ্বয়ের জন্য তিনি ২৫০০০ সহস্র টাকা উইল করিয়া রাখিয়া যান, এই টাকা মহাভারত পাঠ, ব্রাহ্মণ ভোজন, বৈষ্ণবসেবা ও দরিদ্রকে দানাদিতে ব্যয়িত হইযাছিল। দোলগাবিন্দের পুত্র কৃষ্ণগোবিন্দ রায প্রতাপশালী ব্যক্তি ও সদ্ব্যয়ী ছিলেন। তাহার উন্নত সুপুষ্ট ৩ বাযদেৱ বংশ-তালিকা এই ঃ – খেলাবাম লাফা T | I | I | গেীব বায দোলগোবিন্দ মুকুলচাদ বাজকিশোর ব্রজকিশোব কনা I- T T | | | নবকিশোল নদীয়াবাসী পদ্মলোচন কৃষ্ণগোবিন্দ চন্দ্রমণিবায সূর্যমণি বায