পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩৫ সপ্তম অধ্যায় : মোসলমান বংশ বিবরণ 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তালুকের একটি হিস্বার অধিকারী শাহ আজগরের পুত্র কাজি নজম উল-হাসন অতি পরোপকারী ও বদান্য ব্যক্তি ছিলেন; তাহার মৃত্যু এক আকস্মিক ব্যাপার। মৃত্যুর পূৰ্ব্বদিবস দিবা অবসান হইলে যখন আকাশে দুই একটি নক্ষত্র ফুটিতে আরম্ভ হয়, তখন আকাশ পনে তাকাইয়া নক্ষত্রে কি একটা চিহ্ন দর্শনে তিনি বলিয়াছিলেন যে, আগামী প্রাতে একটা বিষম ঘটনা সঙঘটিত হইবে। পরদিন প্রাতে র্তাহাকে আর জীবিত পাওয়া গেল না। হঠাৎ তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। ভবিষ্যদ্বাণী ফলিয়া গেল,—প্রাতেই এই বিষম ঘটনা সঙঘটিত হইল। সেই সময় সুবেশধারী এক অপরিচিত ফকীর উপস্থিত হইয়া শবধৌত করিবার জন্য অনুমতি চাহিল। সে অনুমতি প্রান্তে শবটি সুন্দররাপে ধৌত ও আতরসিক্ত করিয়াই প্রস্থান করিয়াছিল। কাজি সাহেবের পুত্র জীবিত আছেন। কাজি সাহেবের জ্ঞাতি সম্পর্কিত ভ্রাতা সদর-উল-হাসন প্রথমে লস্করপুরের মুন্সেফ প্রাপ্ত হন। সদরুল হাসনের নামোল্লেখ পূৰ্ব্বাংশে করা গিয়াছে; এ বংশে তিনি এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন বলিয়া জ্যেষ্ঠ সহোদরের জ্যেষ্ঠপুত্র সুলেমন হাসনকে পোষ্যপুত্ররূপে গ্রহণ করেন। সুলেমন হাসন বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হইলেও ভোগবিলাস শুন্য ছিলেন; সৰ্ব্বদা ঈশ্বর-চিন্তায় বিব্রত থাকিতেন। বাড়ীতে দালান-কোঠা বিস্তর ছিল, কিন্তু স্বয়ং পর্ণকুটীরে বাস করিতেন। রামশ্রীর সৈয়দ বংশ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের ২য় ভাগ ষষ্ঠ অধ্যায়ে রামশ্রীর বিবরণ প্রসঙ্গে প্রসিদ্ধ মোতিওর রহমানের কীৰ্ত্তিকথা কথিত হইয়াছে; ইহার পূৰ্ব্বপুরুষ তরফের প্রসিদ্ধ সৈয়দ বংশে সমুদ্ভূত হন। ২য় ভাগের খ পরিশিষ্টে সংযোজিত বংশ তালিকায় সৈয়দ সিরাজ উদ্দীনেব নাম লিখিত হইয়াছে, মুসাফির ও ফকির ও ফকির নামে র্তাহার দুই পুত্র ছিলেন। ফকিরাবাদ গ্রাম প্রতিষ্ঠাতা উক্ত সৈয়দ ফকির এই বংশের আদিপুরুষ। ফকিরের পুত্র পৌত্রাদির নাম পরিশিষ্টে লিখিত হইবে।” ফকিরের অতিবৃদ্ধ প্রপৌত্রের নাম সৈয়দ সালেহ বা সুলেমান শাহ। স্থানে ইহার কবর আছে, ইনি প্রসিদ্ধ কুতুব-উল-আউলিয়ার সমসাময়িক ব্যক্তি ছিলেন। সৈয়দ সালেহের পুত্রের নাম গৌহার, তাহার পুত্রের নাম সৈয়দ সিরাজ উদ্দীন (২য়), ইনি লালঠাকুর নামে খ্যাত হন। সিরাজ উদ্দীন (২য়) পরম সাধু পুরুষ ছিলেন, তিনি তরফ হইতে উচাইল চলিয়া যান, ও তথায় বিবাহ করিয়া বাস করেন; তিনি অলাবু (লাউ) নিৰ্ম্মিত বাদ্যযন্ত্রযোগে সদা পরমার্থ সঙ্গীত গান করিতেন বলিয়া সাধারণে র্তাহাকে লাউয়া পীর নামে অভিহিত করিত; তাহার সমাধিস্থান “লাউযা পীরের দরগা” নামে কথিত হইয়া থাকে। ১নং হিস্বা হাযদব হাসন, ইহাব রাজস্ব ২০৯। ৮৫ পাই, স্থানীয় কর ১৬৬ টাকা। ২নং হিস্ব জাযফব হাসন, ইহার রাজস্ব ২৩৫ ৷৷৬ পাই, ১৮৮০ আনা। ৩নং তাং বদরুদ্দীন হাসন,ইহার রাজস্ব ৭৩৩/} ৩ পাই, স্থানীয় কব ৩৮৮০আনা। 8. ২য় ভাগ ২য় খণ্ড ৫ম অধ্যায । ৫. দ পরিশিষ্টের সংযোজিত বংশ তালিকা দ্রষ্টব্য।