পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-চতুর্থ খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৩৪২ পরগণা-জলসুখা ইতিপূৰ্ব্বে জলসুখার দাসবংশ বৃত্তান্ত প্রসঙ্গে গঙ্গানারায়ণের অধিকৃত তত্ৰত্য ১নং তালুকের উল্লেখ করা হইয়াছে জলসুখার ২নং তালুক যে বংশের অধীনে ছিল, এস্থলে তাহারই উল্লেখ করা যাইতেছে। ২নং তালুকের অধিকারীর পিতৃপরিচয় সম্বন্ধে এইমাত্র জানা যায় যে, মদিনা হইতে পিতাপুত্র দুই ব্যক্তি নিজ ভাগ্য পরীক্ষার্থ একদা হিন্দুস্থানে আগমন করিয়াছিলেন; সৰ্ব্বসাধারণে পিতা নিকড়ি আসোয়ারি এবং পুত্র দুকড়ি আসোয়ারি নামে কথিত হইতেন। জলসুখানে তৎকালে একটি নবাবি তহশীল কাছারী ছিল, দুকড়ি আসোয়ারি পুত্র পীর মোহাম্মদ মুর্শিদাবাদ হইতে উক্ত কাছারীতে প্রেরিত হইয়াছিলেন। জলসুখার তদানীন্তন অধিকারী গঙ্গানারায়ণ একদা রাজস্ব বাকীর দায়ে পড়িয়াছিলেন। যে সমস্ত প্রেরণ করিতে উদ্যোগ করেন। গঙ্গানারায়ণ উপায়ান্তর রহিত ইয়া তাহাকে ছাড়িয়া দেওয়ান জন্য পঞ্চ সহস্র মুদ্রা পীর মোহাম্মদকে দিতে চাইলেন; পীর মোহাম্মদ অনেকটা নম্র ভাব ধারণ করিলেন বটে কিন্তু তাহাকে ছড়িলেন না; তখন অগত্যা গঙ্গানারায়ণ নিজ তালুক হইতে তাহাকে চতুর্থাংশ ছাড়িয়া দিতে স্বীকৃত দিলেন। গঙ্গানারায়ণ বিমুক্ত হইয়া স্বীয় অঙ্গীকার পালনে ক্ৰটী করিলেন না। পীর মোহাম্মদের প্রাপ্ত সম্পত্তি পরে “২নং তাং পীর মোহাম্মদ নামে খ্যাত হইল।” এই বংশে পীর মোহাম্মদের পরেও অনেক উপযুক্ত ব্যক্তি জন্মিয়াছিলেন, কিন্তু এক বৎসর ভীষণ বিসূচিকা ব্যাধিতে বংশ বিলোপের উপক্রম হয়। তাহার পর হইতেই ইহারা দীন দশায় পতিত হইয়াছেন; এক্ষণে ক্ষয়াবিশিষ্ট সম্পত্তির আয় অতি সামান্যই রহিয়াছে। পরগণা-দিনারপুর হজরত শাহজলালের অনুষঙ্গী তাজউদ্দীনের কনিষ্ঠ সহোদর চৌকি পরগণাবাসী হইয়াছিলেন, ইহা ইতিপূৰ্ব্বে (৩য় খণ্ডে) বলা গিয়াছে। তদ্বংশীয় কোন এক মহাত্মা খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমে একদা দিনারপুরের জঙ্গলে শিকারোপলক্ষে গমন করেন; ইহার নাম গুলবর -o ২০ পীল মোহাম্মদেব ক্ষুদ্র বংশ তালিকা এই ৪— পীবমোহাম্মদ | | | ך মোহাম্মদ সবিফ সকতে মোহাম্মদ কাবমোহাম্মদ মোহাম্মদ কাশিম ( ঢাকাবাসী)