পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪৩ সপ্তম অধ্যায় ; মোসলমান বংশ বিবরণ – শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত খা। যখন গুলবর খা দিনারপুরের বিস্তুত বনে প্রবিষ্ট হন, দৈবযোগে তখন প্রবল ঝড় উপস্থিত হয়, উপায়ান্তর বিরহিত হইয়া তিনি সন্নিকটবৰ্ত্তী গ্রামে উপস্থিত হন। হরিহর অগ্নিহোত্রী সেই গ্রামে বাস করিতেন। একটি গৃহে প্রবেশ করিতে দেখিয়া এককোণে বসিয়া রহিলেন; প্রবল ঝড় নিবন্ধন বাহির হইয়া চলিয়া যাইতে পারিলেন না। ঝড় থামিলে এই সংবাদ যখন ভাগীরথীর পিতা অবগত হইলেন, যখন জানিলেন যে ঝড়ের জন্য কন্যা অন্যত্র না গিয়া যবনের এক গুহেই অবস্থিতি করিয়াছিলেন, তখন তিনি নিজ সন্ত্রম নষ্ট হইয়াছে বলিয়া কথিত আছে। এই কন্যার গর্ভে গুলবরের এক পুত্র জন্মে, বাগচি বংশের বহু সম্পত্তি ঐ পুত্রের বংশধরের হস্তগত হয়। পরবর্তীকালে গুলবরের বংশে দেওয়ান মজলিশ বাহাদুর বিশেষ বিখ্যাত হইয়া উঠিয়াছিলেন। ইহার বিরাট ভবন ও বিশাল দীঘিকা বিজন বনের মধ্যে এখনও বৰ্ত্তমান আছে। মজলিম বাহাদুরের ১২টী পুত্র হইয়াছিল, দিনারপুরের জমিদার বংশীয় গাজি ও চৌধুরী আখ্যাধারী ব্যক্তিবর্গ সেই ১২ পুত্রের কাহার কাহারও বংশধর। পরবর্তী দানে তত্ৰত দেওয়ান হয়দর গাজি বিদ্যায় মোহাম্মদ নাতির চৌধুরী ও শাচয়ীবিক সামর্থে পীর মোহাম্মদ চৌধুরী বিশেষ বিখ্যাত ছিলেন। ইহাদের খ্যাতি প্রতিপত্তির কথা আজও লোকে বলিয়া থাকে। এসব বংশও তদঞ্চলে সন্ত্রান্ত ও মোসলমান সমাজে সম্মাননীয়। পরগণা-কাশিম নগর বঙ্গদেশ যখন পাঠানদের অধিকারে ছিল, তৎকালে ত্রিপুরা-রাজ্য সময় সময়ে পাঠান সৈন্যের দ্বারা আক্রান্ত হইত; ত্রিপুরার ইতিহাসে সে সংবাদ প্রাপ্ত হওয়া যায। এক সময় দাউদ খা ও কাশিম খাঁ নামক দুইজন পাঠান সেনানায়ক এ দেশের প্রাকৃতিক শ্যামল শোভায় বিমোহিত ও ভূমির উবর্বরতা দর্শনে প্রলুব্ধ হইয়া এদেশেই বাস করেন। তাহারা নবাব হইতে পুরস্কার স্বরূপ এতদ্দেশে যে ভূমি প্রাপ্ত হন, তাহদের নামে তাহা খ্যাত হয়। দাউদ খাঁর বাসভূমি দাউদপুর নাম প্রাপ্ত হয়। (পরগণা দাউদপুব, জেলা ত্রিপুরার অন্তর্গত) সেনা-নায়ক কাশিম খাঁ যে স্থানবাসী হইয়াছিলেন, উহা দিনা দহ কথিত হইত, খা নিজ মামু হত্য মহামুদ রজা জা চৌধুবী প্রভৃতি T ך | | মোহাম্মদ আমীব Ifಷ್ಠ ೭ಕ್ಕ বদবদী দুলা চৌধুবী ডেঙ্গু চৌধুবী | ך | ཁཞ། মজিদ আবদুল হামিদ হামিদুল প্রভৃতি আবদুল আজিজ মযিদুল সহম উল্লা আজু মিযা প্রভূতি চারিভ্রাতা।