পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৫ প্রথম অধ্যায় : ব্রাহ্মণ বংশ বৃত্তান্ত 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত পরগণা-লক্ষ্মণশ্রী জয় কৈলাসের ভট্টাচাৰ্য্য বংশ এই পরগণার নাম দাস জাতীয় লক্ষ্মণরামের নামে হইয়াছিল। লক্ষ্মণরামের দেওয়ান পদবি ছিল। জয়কৈলাসের ভট্টাচাৰ্য বংশীয়গণ এই দেওয়ান বংশের পুরোহিত। রাঢ়দেশের মহেশপুর হইতে স্বর্ণকৌশিক গোত্রীয় রামানন্দ ভট্টাচাৰ্য্য তাহার জনৈক যজমান সহ কামরূপ গমন করিয়াছিলেন, প্রত্যাগমন কালে তদীয় গর্ভবতী পত্নীর নবম মাসে একটি সন্তান প্রসূত হয় ও তিনি পীড়িত হইয়া পড়েন; উপায়ান্তর বিহীন হইয়া রামানন্দ তখন এদেশে অবস্থিতি করিতে বাধ্য হন। এদেশে আসিলে তদীয শিষ্য অতুল রায়েরও একটি পুত্র হয়, তাহারই বংশে দেওয়ান লক্ষ্মণ রামের উদ্ভব হইয়াছিল। রামানন্দের পুত্রের নাম হরিচরণ, তৎপুত্র রাম জীবন, তাহার পুত্র আরাধন, আরাধনের মহাদেব নামে এক পুত্র হয়; ইহার পুত্র হরিশঙ্কর; র্তাহার পুত্রের নাম রাঘবচন্দ্র; রাঘবের সবর্বানন্দ, পৰ্ব্বানন্দ ও বামানন্দ নামে তিন পুত্র হয়। পৰ্ব্বানন্দের পুত্র গোপালচন্দ্র ন্যায়ভূষণ “স্মৃতি সংগ্রহ” এবং “সংসার যাত্ৰা” নামক দুই খানা গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। গোপালচন্দ্র তদঞ্চলের প্রায় ৩০টি মৌজার বাজপণ্ডিত নিযুক্ত হইযাছিলেন। সৰ্ব্বানন্দের পুত্রের নাম সুরানন্দ; সুরানন্দ ও র্তাহার পুত্র গোবিন্দচন্দ্র বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। গোবিন্দ এক চতুষ্পাঠী স্থাপন করিযা অনেক ব্যক্তিকে বিদ্যাদান করিয়াছিলেন। সববানন্দের দ্বিতীয় পুত্ৰ হাকচন্দেব পুত্রের নাম বলরাম; ইহার বাক্য অতি মধুর ও বিনয় মাখা ছিল, তিনি সদা শিবপূজায় বত থাকিতেন, এই জন্য লোকে তাহাকে “শিবঠাকুর”, বলিয়া ডাকিত; তিনি এক টোল স্থাপন করিয়া অনেক ব্যক্তিকে শিক্ষাদান করেন। ইহার তিন পুত্র হয, তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম ব্ৰজনাথ, তৎপুত্র ভাবতচন্দ্র। ভাবতচন্দ্রের পুত্র ও ভ্রাতুষ্পপুত্রাদি জীবিত আছেন।" পরগণা সুখহিড় সুখাইড়ের ভট্টাচাৰ্য বংশীয়গণ তীব্রত্য দাস চৌধুরী বংশের পুরোহিত। এই বংশের আদি পুরুষ স্বীয় শিষ্য মহামাণিক্য বায় সহ পূবর্ব বাসস্থান হইতে এ দেশে আগমন করেন। পূবেব ইহারা বাঢ় দেশের বনগ্রামবাসী ছিলেন বলিয়া শুনা যায়। হরিহর রায়ের সুমন্ত নামে এক পুত্র হয়, সুমন্তের পুত্র দুকরী, তৎপুত্ৰ বাণেশ্বব, তৎপুত্র মুকুন্দ লাল, তাহার পুত্র বনমালী। ইহার জীবন রাম ও বলরাম নামে দুই পুত্র হয়; এই দুই শাখাই এক্ষণে বিস্তুত হইয়া পড়িয়াছে। বনমালীর প্রথম পুত্র জীবন বামের মঙ্গ লানন্দ নামে এক পুত্র হয়, তাহার পুত্র রামকৃষ্ণ তৎপুত্র মোহন রায়; ইহার সল্লোক রাম নামে এক সৎ পুত্র জাত হয়; তাহার পুত্র জগন্নাথ ও গোপীনাথ, ইহার পুত্র শ্রীযুক্ত বৃন্দাবনচন্দ্র ন্যায়রত্ন বৰ্ত্তমান আছেন। এই ভট্টাচার্য বংশ চারি ঘবে বিভক্ত হইয়াছে, ইহারা ভূসম্পত্তিরও অধিকারী। পূবেবাক্ত গোপীনাথ একজন দূরদর্শী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একটা পতিত ভূমি বন্দোবস্ত করিয়া ভবিষ্যৎ বংশীয়বর্গের উন্নতির পথ নিদ্ধারিত করিয়া যান। ৮ জয়শ্রীবাসী শ্ৰীযুত্ত কামিনীমোহন ভট্টাচার্য মহাশয হইতে এই বিববণী প্রাপ্ত হওযা গিযাছে।