পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ ভাগ 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৮ শ্রীচৈতন্য ভগবতে লিখিত ঃ-—“অদ্বৈত সিংহের শ্রীমুখের এই গীত।” ૨ | শ্রীরাগ— “পুলকে রচিত গায়, সুখে গড়াগড়ি যায় দেখরে চৈতন্য অবতারা। বৈকুণ্ঠ নায়ক হরি, দ্বীজরুপে অবতরি, সঙ্কীৰ্ত্তনে করেন বিহারা । কনক জিনিয়া কান্তি, শ্ৰীবিগ্রহ শোহে রে, আজানু লম্বিত মালা সাজে রে । সন্ন্যাসীব রূপে আপন রসে বিহুল, না জানি কেমন সুখে নাচে রে । জয় জয় গেীর— সুন্দর করুণাসিন্ধু, জয় জয় গৌর বৃন্দাবন রায়া রে। জয় জয় সম্প্রতি, নবদ্বীপ পুরন্দর, চরণ কমল দেহ ছায়া রে ।” সঙ্কীৰ্ত্তন ধ্বনি শ্রবণে শ্ৰীমহাপ্রভু কীৰ্ত্তন স্থলে আসিয়াছিলেন, তিনি ভক্তবর্গের এই অভিনব কাহাকেও কিছু বলিলেন না। কীৰ্ত্তনান্তে যথাকলে ভক্তগণ তৎসহ সাক্ষাৎ করিতে গেলেন; মধুর প্রণয়কোপ চিহ্ন তাহার বদনে উদ্ভাসিত হইল, তিনি শয্যায় থাকিযাই জিজ্ঞাসিলেন—“আজ আপনারা কি গাইলেন ? আমি তো বুঝিতে পারি নাই। কৃষ্ণেব স্থানে আবার কে অবতার হইয়া দাড়াইল।” ভক্তগণ নিরুত্তর— কি বলিলেনঃ বৃদ্ধ পণ্ডিত শ্রীবাস তখন সূর্যের দিকে করপত্র আচ্ছাদন দিয়া দাড়াইয়া রহিলেন । শ্ৰীমহাপ্রভু আবার বলিলেন—“কীৰ্ত্তন তো বুঝি নাই, পণ্ডিতের এই অভিনয়ের মৰ্ম্মও যে বুঝিতে পারিতেছি না! শ্ৰীবাস তখন উত্তর করিলেন—“হাতে সূৰ্য্যকে আচ্ছাদন করা যায় কিনা দেখিতেছিল!”—“কারণ?”—শ্ৰীবাস বলিলেন “কারণ এই যে; যাহা হইতে ত্রিভুবন প্রকাশ পাইয়াছে, সেই স্বয়ংপ্রকাশ বস্তুকে অপ্রকাশ রাখার চেষ্টা কতদূর ফলপ্রদ, তাহাই দেখা।” এমন সময় বাহিরে উঠিল। শ্রীবাসাদি সেই ধ্বনির সহিত কণ্ঠ মিলাইয়া বলিলেন “কেমন প্রভো; ইহাদিগকে তো কেহ শিখাইয়া দেয় নাই; তবে এ জয়ধ্বনি কেন?” শ্ৰীমহাপ্রভু আর কিছু বলিলেন না, ভক্তেরই জয় হইল। ই এইরূপে কয়েক বৎসর অতীত হইল। একদা অদ্বৈত শ্ৰীমহাপ্রভুর নিকট একটি প্রহেলিকা বাক্য" ১৪ শ্রী অদ্বৈত প্রেরিত প্রহেলিকা, যথা :– "পাউলকে কহিও লোল হইল পাউল ।