পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৫ জীবন বৃত্তান্ত 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত হইযাছে। তদ্ব্যতীত শণির পাঁচালী, ঘোর মঙ্গল চণ্ডীর পাঁচালী, হাস্য নাথের পাঁচালী, ত্রিনাথের পাঁচালী প্রভৃতি অনেক পাঁচালী গ্রন্থ প্রায় এক সময়ই শ্রীহট্টের ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থাকার কর্তৃক রচিত ও প্রচারিত হইয়াছিল। জগন্মোহন গোসাই প্রায চারিশত বৎসব অতীত হইল, মহাপুরুষ জগন্মোহন জন্মগ্রহণ করেন। (শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের দ্বিতীয় ভাগ ১ম খঃ ৬ষ্ঠ অধ্যায় জগন্মোহনের কিঞ্চিৎ কথা বলিযাছি।) জগন্মোহনের পিতার নাম সুন্দবানন্দ, মাতার নাম কমলা। জগন্মোহন জাতিতে বৈদ্য (মতান্তরে কায়স্থ) ছিলেন। জগন্মোহনের পৈতৃক নিবাস বাঘাসুবা, তাহার স্ববংশীয় বর্গের খ্যাতি “অধিকারী," এখনও তাহারা বাঘাসুরাতে অবস্থিতি করিতেছেন।" জগন্মোহনেব বাল্য চবিত্র অতি সুন্দর। কিন্তু জগন্মোহন ভাগবত কার অনেক স্থলেই শ্রীচৈতন্য লীলার ছাচে ফেলিয়া উহা লিখিতে গিযা পাঠককে সংশয়ান্বিত করিযাছেন।" ((S বাং ১৩১৯ --পৌষ সংখ্যা নপাভাবতের জনৈক লেখক ইহাকে ববিশাল বাসী বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন কিন্তু তিনি একথাব কোন প্রমাণ প্রদর্শন করেন নাই। ১৩২০ বাং—মাঘ মাসেব নব্য ভাবতে “জগন্মোহন ভগবত"অনুসারে জগন্মোহন কথা আলোচিত হইয়াছে বিজযা পত্রিকাষ আমরাও তাহাব বচিত কথা কীৰ্ত্তন কবিয়াছি। লপনা দাস নামক জনৈক গোড়ায বৈষ্ণব জগন্মোহনের মতানুবাগী হইয়া পড়েন এবং তিনি শ্রীচৈতন্য ভাগবতের অনুকরণে জগন্মোহন ভাগবত রচনা করেন। তিনি বলেন “নিতাই গুড়রূপে হৈল জগতমোহন গোসাঞি”। আবার এক স্তলে বলিয়াছেন “শ্রীচৈতন্য জগতমোহন নিশ্চয।”কাজেই তিনি জগন্মোহনের প্রত্যেক লীলা শ্রীচৈতন্য লীলাব সহি ত মিলাইয়া লিখিয়াছেন। BBBB BB BBBBB BBBBBS BBBBBBSBBBBB BBBBB BBBB BBBB BBBBBBBBBB হইল” ৩খন জগন্মোহন জন্ম পবিগ্রহ করেন। জন্ম তিথিটাও এককপ মিলিযা গেল, গ্রন্থকাবের জগন্মোহন চরি, টা শ্রীচৈতন্য লীলাব সহিত মিলিইযা লিখিতে সাধ হইবে না কেন ? শ্রীচৈতন্যের জন্মস্থান নবদ্বীপ, কাজেই তদীয় অবতাব জগন্মোহনের জন্মস্থানেৰ নামও দ্বীপান্তক হওযা চাই। বৰ্ত্তমান বাঘাসুবাব সন্নিকটবৰ্ত্তী তৎকালপ্রসিদ্ধ চন্দ্রপুর বা চান্দপুর গ্রাম (মেজৰ জে, রেনেল এফ, আব.এস কৃত ১৬৭৯ খুঃ অঙ্কিত মেপ দেখ,) চন্দ্রদ্বীপ নামে তদীয় জন্মভূমি কাপে লিখিত হইল । জগন্মোহনেব পিতাব নাম ও মাতার নাম আমবা যাহা প্রাপ্ত হইয়াছি জগন্মোহন ভাগবতে তদ্রুপ নহে, ঐ গ্রন্থে জগন্মোহনেব মাতাবনাম সুধাবতী এবং পিতাবনাম পুরন্দব বলিযা লিখিত, এ স্থলেও যে শ্রীগৌরাঙ্গের পিতা জগন্নাথ পুবন্দরেব নাম অনুকৃত হয় নাই, তাহা বলা বাহুল্য। এ সব স্থলে জগন্মোহন ভাগবতেব কথাব অনুসরণ কবা নিবাপদ নহে । আমবা সৰ্ব্বত্র ইহাব অনুসবণনা কবিয়া “জগন্মোহন চরিত্র” গ্রন্থ ও পূৰ্ব্বাপব প্রচলিত জনশ্রুতিই গ্রহণযোগ্য মনে কবিযাছি। লবণী দাস যে গৌড়ীয বৈষ্ণব ছিলেন, গ্রন্থের সবর্বত্র তাহাব পবিচ্য আছে, তিনি অনেক স্থলে অদ্বৈতবাদী জগন্মোহনেব মুখে “আপনে প্রকৃতি হেন মনে কব জ্ঞান, পুরুষোত্তম পরমাত্মা ভজ মতিমান।” ইত্যাদি কথাও অলক্ষে প্রকাশিত কবিয়া ফেলিয়াছেন। জগন্মোহনেব জন্মেব পব শ্রীহট্রেব চিরাচরিত আচাব মতে ৬ষ্ঠ দিনে— জাত কৰ্ম্ম অস্তে নাম করণাদি ক্রিযা যত। যঠি আদি ক্রিযা কৈল বেদ বিধিমতে। সম্পন্ন হইয়াছিল। শ্রীচৈতনোব জন্ম হইলে যেমন নারিগণ দর্শনে আসিয়াছিল, শ্রীচৈতন্য ক্ৰন্দন কবিবাব কালে হবি বলিলেই যেমন থামিয়া যাইতেন। ইহার সম্বন্ধে তদ্রুপ লিখিত হইযাছে, যথা রমণীগণ—