পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৬৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ ভাগ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ২১২ “হরিধবনি কর গ্রন্থ হৈল সমাপন। ষোলশত বায়ান্ন শকেতে হৈল লিখন।। তাম্রধবজ মহারাজ ছিলা মহাভাগ। সবর্বলোকে সদ যারে করে অনুরাগ। তান পুত্র রাজা শুরদপ মহাশয়। চন্দ্রপ্রভা নামে দেবী তান মাতা হয়। কবি বাচস্পতি তান বাক্য অনুসারে। শ্রীনারদী রসামৃত রচিলা পয়ারে। উপসংহার আমরা উত্তরাংশে কাছাড়ের কথা অতি সংক্ষেপেই সমাপ্ত করিলাম; কিন্তু বিবেচনা করিয়া দেখিলে এই অংশই শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের পে বিশেষ প্রয়োজনীয়;—কেননা, কাছাড়ে উপনিবিষ্ট বাঙ্গালী ব্রাহ্মণ ভদ্র হিন্দু মোসলমান প্রায় সমস্তই শ্রীহট্ট হইতে গিয়াছেন। ফলতঃ "বৃহত্তর” শ্রীহট্টের এই পূবৰ্বাঞ্চলের কাহিনী শ্রীহট্টের গৌরবসূচক। তথাপি বরং কাছাড়ের কিঞ্চিৎ বিবরণ দিতে পারা গিয়াছে, কিন্তু বৃহত্তব শ্রীহট্টের পশ্চিম ও দক্ষিণাংশ–বৰ্ত্তমান ময়মনসিংহের পূৰ্ব্বাংশ ও ত্রিপুরার উত্তরাংশ—আমরা স্পর্শ করিতেও পারি নাই। ইতিহাস কখনও কেহ চূড়ান্ত করিয়া লিখিয়া যাইতে পাবে না—ভবিষ্যত ইতিহাসের গবেষণার অবকাশ যথেষ্ট থাকিয়া যায়; বিশেষত বৃহত্তর শ্রীহট্টের ইতিহাস সংকলন আমাদের অসাধ্য। মহত্তর ব্যক্তির কাজ তাই ভবিষ্য ঐতিহাসিকের উপর সে ভার অপণ পূবর্বক আমরা ক্ষুদ্র লেখনী এই স্থলেই উপংসহাধ করিলাম।