পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৯ পরিশিষ্ট 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত আমাদিগকে পত্র লিখিয়া জানাইয়াছেন—“ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় যদি নিঃস্বার্থভাবে এই গ্রন্থের মুদ্রণাদির ব্যয় (প্রায় আড়াই হাজার টাকা) বহন না করিতেন তাহা হইলে এই গ্রন্থ প্রকাশিত হইত না।” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের এ আদর্শ—বঙ্গসাহিত্যের অনুরাগী সামর্থ্যবান ব্যক্তি মাত্রেই অনুকরণীয়। গ্রন্থখানি সুরঞ্জিত মানচিত্রে এবং আবশ্যকানুরূপ বিবিধ চিত্রাদিতে সুশোভিত। এই গ্রন্থে এত তথ্য সংগৃহীত হইয়াছে যে এই ক্ষুদ্র প্রসঙ্গে তাহার পরিচয় প্রদান করা সম্ভবপর নহে। যাহারা সাহিত্যের সমাদর করেন, সৎসাহিত্যের উৎসহ দানে পরাজুখ নহে, শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত র্তাহাদের সকলেরই নিকট উৎসাহ প্রাপ্ত হইবে, সন্দেহ নাই। যে অধ্যবসায়, যে পরিশ্রম বেং যে অনুসন্ধিৎসার সহিত এই গ্রন্থ প্রণীয় হইয়াছে, তাহা সবৰ্বথা প্রশংসনীয়।” শাস্তিকণা—৩য় বর্ষ—১১ ৷৷ ১২শ সংখ্যা “শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত।—শ্ৰীযুক্ত অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি প্রণীত। পূবর্বাংশ, ১ম ও ২য় ভাগ; ডিমাই ৮ পেজী, প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠা, মূল্য ৪ টাকা। ইহা একখানি শ্রীহট্ট জেলার ইতিহাস, ভূগোল সমাজ, তীৰ্থকাহিনী, শিল্প, বাণিজ্য, দেশের অবস্থা, জীবজন্তু প্রভৃতি নানাবিধ অবশ্য জ্ঞাতব্য তথ্য পরিপূর্ণ সুবৃহৎ গ্রন্থ। এরূপ গবেষণা ও প্রকৃত তথ্যপূর্ণ বিরাট গ্রন্থ জেলার, এমন কি দেশের পক্ষে অতিশয় গৌরবের সামগ্রী। যদি প্রত্যেক জেলার এই রূপ বিশুদ্ধ ও সূক্ষতথ্য সম্বলিত বিস্তৃত ইতিহাস রচিত হয়, তবে দেশের ও ভাষার প্রকৃতই কল্যাণ সাধিত হয়। অচ্যুতবাবুর নিকট বঙ্গভাষা ও বঙ্গবাসী—বিশেষতঃ শ্রীহট্টবাসী চিরকৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ রহিলেন। এই বিরাট গ্রন্থ সঙ্কলনে যথেষ্ট গবেষণা ও পাণ্ডিত্যের পরিচয় পাইয়া আমরা গ্রন্থকৰ্ত্তাকে অজস্র ধন্যবাদ দিতেছি। শুভক্ষণে র্তাহাব লেখনী ধারণ সার্থক হইয়াছে। লেখকের লেখনীতে পুষ্পচন্দন বর্ষিত হউক। যদি দেশের প্রকৃত ইতিহাস ভূগোল, সমাজ সম্বন্ধীয় পূৰ্ব্বাপর বিস্তৃত তথ্য জানিতে হয়, তবে ইহা একমাত্র পাঠ্য, ইহা আমবা মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারি। গ্রন্থে অনেকগুলি সুন্দর হাফটোন চিত্র ও শ্রীহট্টের একখানি সুরঞ্জিত মানচিত্র আছে, ছাপা কাগজ ও বাইণ্ডিং সুন্দর।” ঢাকা রিভিউ ও সম্মিলন–১১শ সংখ্যা ফাল্গুন ১৩১৮ সন (লেখক প্রবীণ ঐতিহাসিক স্বগীয় কৈলাসচন্দ্র সিংহ ) “জাতীয় গৌরব স্তম্ভ জাতীয় ইতিহাস। জাতীয় ইতিহাসের অভাব জাতীয় দুর্ভাগ্য। পূৰ্ব্বপুরুষের কীৰ্ত্তিকলাপ ঘোষণা করিবার জন্য জাতীয় ইতিহাস লেখকের অভাব নিতান্তই জাতীয় দুর্ভাগ্যের বিষয়। >ής 米 *: *: বাঙ্গালার জাতীয় ইতিহাস রচনার সময় অতি নিকটবৰ্ত্তী বলিয়া বোধ হইতেছে; কিন্তু প্রাদেশিক ইতিহাস সংগৃহীত না হইলে বাঙ্গলার ইতিহাস সঙ্কলন অতি দুরূহ বলিয়া বোধ হয়। ইতঃপূৰ্ব্বে ময়মনসিংহ ও শেরপুরের ইতিহাস পাঠ করিয়া আমরা প্রতি লাভ করিয়াছিলাম। অদ্য আর এক খানা সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর প্রাদেশিক ইতিহাস আমাদের হস্তগত হইয়াছে। তাহা—“শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত।”