প্ৰথম অধ্যায় । ܘ ܢ দর্শকমণ্ডলীর পাষাণ হৃদয় গলিয়া যাইতেছে । ” এই সময়ের শ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দরের শ্ৰীমুখ নিস্থ ত সৰ্ব্বক্ষণ ও সৰ্ব্বত্ৰ সমাদৃত সেই মহাসংকীৰ্ত্তনের সঙ্গীতটিী এই :- হারি হরয়ে নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ যদিবা? মাধবায় কেশবায় নমঃ গোপাল গোবিন্দ রাম শ্ৰীমধুসুদন | চাদ কাজি এই মহাসংস্কীৰ্ত্তনের জনস্রোত দর্শন করিয়া হতবুদ্ধি উইয়া গেলেন এবং সেই জনস্রোতের মধ্যে শ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দরের রূপলাবণ্য নিরীক্ষণ করিয়া যেন মন্ত্রমুগ্ধ ৷ হইলেন। এদিকে শ্ৰীগৌরাঙ্গ ভক্তবৃন্দ সঙ্গ চাদ কাজির দ্বারদেশে উপস্থিত হইলেন ; এবং অবশেষে এই উচ্চ সংকীৰ্ত্তনের মূল উদ্দেশ্য জিজ্ঞাসা করিলেন । প্রশ্নের উত্তরে গৌরাঙ্গদে বা বলিলেন ‘ঘরে বসিয়া কীৰ্ত্তন করলে কেবল মাত্র নিজেরই ইষ্ট সাধন হান্ন, কিন্তু উচ্চ সংকীৰ্ত্তনে যাঙ্গারা কীৰ্ত্তন করেন এবং সঁহারা সেই ক ৰ্ত্তন শ্রবণ করেন, এতদুভয় পক্ষেরই ইষ্ট সাধন হইয়া থাকে। শ্ৰীগৌরাঙ্গ এইরূপ নানাবিধ উত্তর প্রত্যুত্তরে কাজি সাহেবকে সন্তুষ্ট করিয়া সংকীৰ্ত্তনের পথ মুক্ত করিলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ মাঝে মাঝে ভক্তিগণের গৃষ্ঠে উপস্থিত হইয়া কীৰ্ত্তন করিয়া গৌরভাক্ত দিগকে আনন্দ প্ৰদান করিতেন । একদা শ্ৰীবাসের গৃহে কীৰ্ত্তন করিতে আরম্ভ করিলেন, শ্ৰীবাস পণ্ডিত ও छठु52jgछ কাৰ্ত্তনে যোগদান করিলেন । কিন্তু কিছুতেই শ্ৰীগৌরাঙ্গ। কীৰ্ত্তনে আনন্দ উপস্থিত হইতেছে না । ইহাতে , 'শ্ৰীগৌরাঙ্গ বিমর্ষ হইলেন, • পরে কারণ অনুসন্ধানে জানিলেন, শ্ৰীৱাসের পুত্রের মৃত্যু হইয়াছে। এবং কীৰ্ত্তন সময়ে ও শ্ৰীবাসের বাড়ীতেই মৃত পুত্রের শবদেতা’ পড়িয়া আছে।” তখন সেই
