পাতা:শ্রী শ্রী বৈষ্ণব ইতিহাস - হরিলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W) শ্ৰীশ্ৰীবৈষ্ণব-ইতিহাস । করিলেন ; এবং তৎপর গোবিন্দ, জগদানন্দ, মুকুন্দ ও নিত্যানন্দকে সঙ্গে লইয়া শ্ৰীক্ষেত্র অভিমুখে গমন, করিলেন । শ্ৰীক্ষেত্রের এই পথেষ্ট গৌড় রাজ্যের প্রধান জমিদায় আঠিসারা গ্রামের রামচন্দ্ৰ খ্যার সচিত সাক্ষাৎ হয়। ইনি পূৰ্ব্বে বৈষ্ণবদ্বেষী ছিলেন, কিন্তু শ্ৰীগৌরাঙ্গের কৃপায় শেষে গৌরভক্ত হইয়াছিলেন। পথিমধ্যে অনেক তীর্থাদি পরিভ্রমণ করিয়া কমলাপুরে ভাগীনদী তীরে উপস্থিত হইলেন । পুৰ্ব্বে শ্ৰীগৌরাঙ্গ নিত্যানন্দের দণ্ড ভাঙ্গিয়াছিলেন । এই স্থলে শ্ৰীমন্নিত্যানন্দ প্ৰভু, শ্ৰীগৌরাঙ্গের দণ্ড ভঙ্গ করিয়া নদীগর্ভে বিসর্জন দিলেন । মহাপ্ৰভু এই স্তান চাইতে জগন্নাথ দেবের রথের চুড়া দর্শন করিয়া দৌড়িয়া গিয়া একেবারে মন্দির মধ্যে প্ৰবেশ করিলেন । এবং ভাবাবেশে একেবারে মুৰ্ছিত হইয়া পড়িলেন। পরে নিত্যানন্দ আসিয়া হরিনাম-মন্ত্রে মতাপ্রভুর মূৰ্ছি ভঙ্গ করেন। এই সময় প্রতাপরুদ্র উৎকল প্রদেশের রাজা ছিলেন । তিনি স্বরাজ্যে ন্যায়শাস্ত্ৰ প্ৰচার জন্য নবদ্বীপ হইতে বাসুদেব সাব্বভৌমকে আনয়ন পূর্বক উৎকলে রাজপণ্ডিত পদে নিম্নাক্ত করেন। ইহার সাহায্যে শ্ৰীগৌরাঙ্গ রাজগুরু কাশী মিশ্রের বাসভবনে আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেন । অল্প দিন মধ্যেই অনেক গৌরভক্তমণ্ডলী শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথধামে আসিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গের সহিত মিলিত হইলেন । সৰ্ব্বভেীমের ইচ্ছা তিনি মহাপ্ৰভুর নিকট বেদান্ত পাঠ করিয়া মহাপ্ৰভুকে অদ্বৈতবাদী সন্ন্যাসী বানাইটবেন। সেই উদ্দেশ্যে প্রভুর নিকট বেদান্ত পাঠ আরম্ভ করিলেন। ক্রমাগত ৭ দিন পাঠ অন্তে সাৰ্ব্বভৌম মহাপ্ৰভুকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি পাঠ শুনিয়া কিছুই বলিতেছ না কেন ? ইহাতে আমার বোধ হইতেছে তুমি হয় তা বাখ্যার অর্থ ভালরূপ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিতেছ না।” মহাপ্ৰভু বলিলেন “শ্লোকের অর্থ অতি সুন্দর বুঝিতেছি। কিন্তু আপনার বাখ্যা ভাল বোধ হইতেছে না।” ইহাতে সাৰ্ব্বভৌম পণ্ডিতের অত্যন্ত ক্ৰোধ উপস্থিত হইল। তখন মহাপ্ৰভুকে বলিলেন “তুমি