পাতা:শ্রী শ্রী বৈষ্ণব ইতিহাস - হরিলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8b" শ্ৰীশ্ৰীবৈষ্ণব-ইতিহাস। ভয় । সাধক। এই ভক্তি ও ভাব লইয়াই বিভোর থাকেন । শান্ত, দাস্ত, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর ভাব অতি উৎকৃষ্ট ও বিমল उठद । আনন্দদায়ক । দাম্ভভাব সুন্দর । কারণ ইহাতে শান্ত ও দাস্য দুইটী ভাবই আছে । সখ্যভাব, দাম্ভভাব অপেক্ষা আর ও সুন্দর । কারণ এক সখ্যভাবে শান্তি, দাস্য ও সখ্য এই তিন ভাবই মিশ্রিত । এই তিন ভাব অপেক্ষা বাৎসল্য ভাব আর ও সুন্দর ; বাৎসল্য ভাব যে আনন্দ প্ৰদান করে, শান্ত দাম্ভ ও সখ্য ভাব সে আনন্দ প্ৰদান করিতে অসমর্থ। । শান্ত, দান্ত, সখ্য ও বাৎসল্য ভাব অপেক্ষা কান্ত ভাব বা মধুর ভাপ সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । এই কান্ত বা মধুর ভাবে সকল ভাবের ভাবই মিশ্রিত । সেবক কেবল প্ৰভুর আজ্ঞা পালন করিয়া সন্তুষ্ট হয় । সখা কেবল প্রভুর প্রিয় কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া আত্মতৃপ্তি লাভ করে। মাতা কেবল পুত্ৰমেহের আনন্দ উপভোগ করেন । স্ত্রী কেবল পতি-সোহাগিনী হচেয়া একমাত্র স্বামীর দাম্পত্যসুখ অনুভব করেন । কিন্তু মধুর ভাবের সাধক সকল প্রকার সুখই অনুভব করেন। সাধুৱ ভাবের সাধক সকল প্ৰকার সুখ অনুভব করিয়া অনিব্বচনীয় আনন্দ লহরীতে ভাসিতে থাকেন। পরকীয় ভােব এই ভাবের অন্তৰ্গত । ‘বংশী শিক্ষা” নামক গ্রস্তে এই ‘পঞ্চভাব” সম্বন্ধে নিম্নলিখিত শ্লোক 25 SI 1 “শান্ত তাম দাস্য র্কাস সখ্য রূপ গণি । বাৎসল্য সোণ শৃঙ্গার রত্নচিন্তামণি ॥” উক্ত বংশীশিক্ষা গ্রন্থে মহাপ্ৰভু এই পঞ্চ ভাব সম্বন্ধে বংশীবদনকে বলিতেছেন ঃ “মাত্র করমের ফলে তাম লাভ হয় ;

  • , জ্ঞানের ফলোতে কঁাসা লাভ সুনিশ্চয় ॥