পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অঙ্ক ] ষোড়শী। [ প্ৰথম দৃশ্য ছাড়া যে আর কারও পানে চাইবার কোথাও কেউ ছিল না-এ সব ষোড়শী একেবারে ভুলে গেছে। কেবল একটি কথা তার মনে জেগে আছে-যে নিজের প্রাণটা অসংশয়ে তার হাতে দিতে পেরেছিল তাকে আবার অবিশ্বাস করা যায় কি কোরে! ব্যস, যা কিছু ছিল চোখ বুজে দিলে আমার হাতে তুলে। প্ৰফুল্লা, দুনিয়ায় ভয়ানক চালাক লোকেও মাঝে মাঝে মারাত্মক ভুল করে বসে, নইলে সংসারটা একেবারে মরুভূমি হয়ে যেত, কোথাও রসের বাষ্পটুকু জম্বারও ঠাই (*52 ! প্ৰফুল্ল। অতিশয় খাটি কথা দাদা ! অতএব, অবিলম্বে খাতাখানা পুড়িয়ে ফেলে তারাদাস ঠাকুরকে ডেকে ধমক দিন,- জমানো মোহর গুলোয় যদি সলোমান সাহেবের দেনাটাি শোধ যায় তা শুধু রসের বাষ্প কেন, মুষল ধারে বর্ষণ সুরু হতে পারবে। জীবানন্দ। প্ৰফুল্লা, এই জন্যেই তোমাকে এত পছন্দ করি। প্ৰফুল্ল। (হাত জোড় করিয়া ) এই পছন্দটা এইবার একটু খাটাে করতে হবে দাদা। ব্লসের উৎস আপনার অফুরন্ত হোক, কিন্তু মোসাহেবী করে এ অধীনের গলার চুঙ্গিটা পৰ্য্যন্ত কাঠ হয়ে গেছে। এইবার একবার বাইরে গিয়ে দুটো ডাল-ভাতের যোগাড় করতে হবে। কাল পরশু আমি दिांश निलiभ । জীবানন্দ । ( সহস্তো ) একেবারে নিলে ? কিন্তু এইবার নিয়ে ক’বার নেওয়া হল প্ৰফুল্ল ? প্ৰফুল্ল। বার চারেক । (হাসিয়া ফেলিয়) ভগবান মুখটা দিয়েছিলেন, তা বড় লোকের প্রসাদ খেয়েই দিন গেল ; দুটো বড় কথাও যদি না মাঝে δΣ