পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छउौद्मठ्ठश्ड ] ষোড়শী। [ দ্বিতীয় দৃশ্য প্ৰফুল্ল । জেনেও কোন লাভ নেই দাদা । বাপরে ! মেয়ে মানুষ ত নয়, যেন পুরুষের বাবা । মন্দিরে দাড়িয়ে সেদিন অনেকক্ষণ চেয়ে ছিলাম, মনে হল, পা থেকে মাথা পৰ্য্যন্ত যেন পাথরে গড় । ঘা মেরে মেরে গুড়ো করা যাবে, কিন্তু আগুনে গলিয়ে যে হচ্ছেমত ছাচে ঢেলে গড়বেন সে বস্তুই নয়। পারেন ত ও মৎলবটা পরিত্যাগ করবেন। জীবানন্দ । ( বিদ্রুপের স্বরে )। তা’হলে প্ৰফুল্লা, এবার নিতান্তই যাচ্চো ? প্ৰফুল্ল । গুরুজনের আশীৰ্ব্বাদের জোর থাকে। ত মনস্কামনা সিদ্ধ হবে বই কি । জীবানন্দ । তা’ হতে পারে । আচ্ছা, ষোড়শী সত্যই চলে যাবে। তোমার মনে হয় ? প্ৰফুল্ল । হয় । কারণ, সংসারে সবাই প্ৰফুল্ল নয়। ভাল কথা দাদা, একটা খবর দিতে আপনাকে ভুলে ছিলাম। কাল রাস্ত্ৰে নদীর ধারে বেড়াচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখি সেই ফকির সাহেব । আপনাকে যিনি একদিন তার বটগাছে ঘুঘু, শিকার করতে দেননি,-বন্দুক কেড়ে নিয়েছিলেন--তিনি। কুর্ণিশ করে কুশল প্রশ্ন কোরলাম, ইচ্ছে ছিল মুখরোচক দু’টাে খোষামোদ টোষামোদ করে যদি একটা কোন ভাল রকমের ওষুধটযুদ্ধ বার করে নিতে পারি। ত আপনাকে ধরে পেটেণ্ট নিয়ে বেচে দু’পয়সা রোজগার কোরব। কিন্তু ব্যাটা ভারি চালাক, সে দিক দিয়েই গেলনা। কথায় কথায় শুনলাম তাঁর ভৈরবী মাকে দেখতে এসেছিলেন, এখন চলে যাচ্চেন । ভৈরবী যে সমস্ত ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্চেন তঁর কাছেই শুনতে পেলাম। SS8