পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অঙ্ক ] ষোড়শী [ তৃতীয় দৃশ্য হৈম। আমাদের ভৈরবী। কিন্তু তুমি তাকে পেলে কোথায় তাই শুধু আমি ঠাউরে উঠতে পারিনি। নিৰ্ম্মল। পারোনি ? পেয়েছিলাম তাকে অনেক দূরে। তোমাদের ফকির সাহেবের সম্বন্ধে অনেক আশ্চৰ্য্য কথা শুনে ভারি কৌতুহল হয়েছিল তঁাকে দেখবার। খুঁজে খুঁজে চলে গেলাম। নদীর পারে তঁর আশ্রম, সেখানে গিয়ে দেখি তোমাদের ভৈরবীও আছেন বসে । হৈম । তার কারণ, ফকিরকে তিনি গুরুর মত ভক্তি-শ্রদ্ধা করেন । কিন্তু সত্যিই কি তোমাকে একেবারে হাতে ধরে অন্ধকারে বাড়ী পৌছে দিয়ে গেলেন ? নিৰ্ম্মল। সত্যিই তাই। যে মুহূৰ্ত্তে তিনি নিশ্চয় বুঝলেন প্ৰচণ্ড ঝড় জলের মধ্যে ভয়ঙ্কর অন্ধকার অজানা পথে আমি অন্ধের সমান, নারী হয়েও তিনি অসঙ্কোচে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, আমার হাত ধরে আসুন। কিন্তু পরের জন্য এ কাজ তুমি পারতেন, হৈম। श्म । न । নিৰ্ম্মল। তা’ জানি।) { ক্ষণেক থামিয়া ] দেখা হৈম, তোমাদের দেবীর এই ভৈরবীটিকে আমি চিনতে পারিনি। সত্যি, কিন্তু এটুকু নিশ্চয় বুঝেছি। এর সম্বন্ধে বিচার করার ঠিক সাধারণ নিয়ম খাটেনা। হয়, সতীত্ব জিনিসটা এর কাছে নিতান্তই বাহুল্য বস্তু,-তোমাদের মত তার যথার্থ রূপটা ইনি চেনেননা, না হয়, সুনাম দুর্নােম একে স্পর্শ পৰ্যন্তও করতে পারেন । হৈম। তুমি কি সেদিনের জমিদারের ঘটনা মনে ক’রেই এই সব বলচো ? 8 to