পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অঙ্ক ] ষোড়শী [ চতুর্থ দৃশ্য ধরে গলা টিপে মদ খাইয়ে দেয়নি এই আশ্চৰ্য্য। এককড়ির মুখে ভৈরবী ঠাকরুণের হুমকিও তা শুনলে ? তোমরা ত চুপ করে ছিলে, আমিই মেলা কথা কয়েছি।--ভাল করিনি। কি জানি, এককোড়ে ব্যাটা ভেতরে ভেতরে সব বলে দেয় না কি। দুয়ের মাঝে পড়ে শেষকালে না বেড়াজালে ধরা পড়ি । জনাৰ্দন । ( উদাসকণ্ঠে ) সকলই চওঁীর ইচ্ছে । বেলা হ’ল, সন্ধ্যের পব একবার আসবেন। শিরোমণি । তা” আসবে। কিন্তু ঐযে আবার এরা ফিরে আসচেন হে ! [ মন্দির-প্রাঙ্গণের একটা দ্বার দিয়া ষোড়শী ও তাহার পশ্চাতে সাগর ও তাহার সঙ্গী প্ৰবেশ করিল। অন্যদ্বারা দিয়া জীবানন্দ, প্ৰফুল্প, ভৃত্য ও কয়েকজন পাইক প্রবেশ করিল। ] জীবানন্দ। চলে যাচ্ছিলাম, শুধু তোমাকে আসতে দেখে ফিরে এলাম। এককড়িকে দিয়ে তোমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম, এবং তারই মুখে তোমার জবাবও শুনলাম। তোমার বিরুদ্ধে রাজার আদালতে গিয়ে দাড়াবার বুদ্ধি আমার নেই, কিন্তু নিজের প্রজাদের শাসনে রাখবার বিদ্যেও জানি । সমস্ত গ্রামের প্রার্থনা মত তোমার সম্বন্ধে কি আদেশ কবেছি শুনেছ ? ষোড়শী । না । জীবানন্দ । তোমাকে বিদায় করা হয়েছে। নূতন ভৈরবী করে, তাকে মন্দিরের ভায় দেওয়া হবে । অভিষেকের দিনও স্থির হয়ে গেছে । ¢ዓ