পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য় অঙ্ক ] ষোড়শী [ প্ৰথম দৃষ্ঠা হৈম। তা’ হলে সত্যিই কি তুমি সব ছেড়ে দেবে ? নিৰ্ম্মল। তা’ ছাড়া কি উপায় আছে বলতে পারো ? সমস্ত গ্রামের সঙ্গে ত একজন অসহায় স্ত্রীলোক দিবানিশি বিবাদ করে টিকতে পারে না। হৈম। আমবা সমস্তই শুনেছি। তুমি সন্ন্যাসিনী, সবই তোমার সইবে কিন্তু এবং সঙ্গে যে মিথ্যে দুর্নােম লেগে রইল সেও কি সইবে দিদি ? ষোড়শী। দুর্নােম যদি মিথ্যেই হয় সইবে না কেন ? হৈম, সংসারে মিথ্যে কথার অভাব নেই, কিন্তু সেই মিথ্যে কথার সঙ্গে ঝগড়া কবে মিথ্যে কাজের সৃষ্টি করতে আমার লজ্জা কবে বোন। হৈম। দিদি, তুমি সন্ন্যাসিনী, তোমাব সব কথা আমবা বুঝতে পারিনে, কিন্তু তোমাকে দেখে কি আমার মনে হয় জানো? আমার শ্বশুরকে কোন এক বাজা একখানি তলোয়াব খিলাত দিয়েছিলেন। খাপখানা তার ধূলো বালিতে মলিন হয়ে গেছে কিন্তু আসল জিনিসে কোথাও এতটুকু ময়লা ধবেনি। সে যেমন সোজা, তেমনি খাটি, তেমনি কঠিন। তার কথা আমার তোমার পানে চাইলেই মনে পড়ে। মনে হয় দেশশুদ্ধ লোকে সবাই ভুল করেছে, আসল কথা কেউ কিছুই स्थान का ! ষোড়শী। ( হৈমর হাতখানি নিজের হাতের মধ্যে টানিয়া লইয়া ) আজ তোমাদের কেন যাওয়া হ’ল না, হৈম ? বোধ হয় কাল যাওয়া शव, ना ? হৈম। আমার ছেলের কথা তুললেই তুমি রাগ কর, সে আর বোলাব না, কিন্তু ভয়ঙ্কর দুৰ্য্যোগের রাতে আমার এই অন্ধ মানুষটিকে যিনি হাতে ধ’রে নদী পার কোরে এনে নিঃশব্দে দিয়ে গেছেন, তার পায়ের ধূলো না ૭૨