পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অঙ্ক ] 6षांछनी [ ક્ષમ પૃત્યુ কাউকে বাকি রাখবেনা। ধরবে। আর দুম করে গুলি করে মারবে। এমন কত গণ্ডা এবুই মধ্যে মেবে পুতে ফেলেছে জানো ? ভয়ে কেউ কথাটি পৰ্য্যন্ত কয়না । এককড়ি। হাঁঃ-কথা কয়নী ! মগের মুল্লক। কিনা ! বিশ্বম্ভব । আবে মাতাল যে। তার কি হুশি, পবন আছে, না। দয়ামায়া আছে! বন্দুক পিস্তল ছুবি-ছোবা ছাড়া এক পা কোথাও ফেলেন। মেবে ফেললে তখন কববে কি শুনি ? এককড়ি। তুই ত সেদিন সদরে গিয়েছিলি,--দেখেচিস তাকে ? বিশ্বম্ভব। না, ঠিক দেখিনি বটে, তবে সে দেখাই । ইয়া গালপাট্টা, ইয়া গোফ, ইয়া বুকের ছাতি, জবা ফুলের মত চোখ ভাঁটার মত বন বন কবে ঘুচে এককড়ি। বিশু, তবে পালাই চ” । বিশ্বম্ভর । আবে পালিয়ে ক’দিন তাব কাছে বঁাচুবে নন্দী মশাই ? চুলের ঝুটি ধবে টেনে এনে খাল খুঁড়ে পুতে ফেলবে। এককড়ি। কি তবে হবে বল ? মাতালটা যদি বলে বসে শাস্তিকুঞ্জেই থাকৃবো ? বিশ্বম্ভর । কতবার তা বলেছি নন্দী মশাই এ কাজ কোরোনা, কোরোনা, কোরোনা। বছরের পর বছব খাতায় কেবল শান্তিকুঞ্জের মিথ্যে মেরামতি খরচই লিখে গেলে, গরীবের কথায় তা আর কান দিলেন । এককড়ি। তুইও তা কাছারির বড় সর্দার, তুইও তবিশ্বম্ভর। দেখ, ও সব শয়তানি ফন্দি কোরোনা বলচি ! আমার ওপর দোষ চাপিয়েছ কি-ওগো, ওই যে একটা পালকি দেখা যায় !