পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অঙ্ক ] ষোড়শী। [ প্ৰথম দৃশ্য অন্য লোক আছে, সে তুমি নয়। তোমাকে বুঝতে পারার যথেষ্ট সুবিধে দিয়েছ,--আর যা অপবাদ দিই, অস্পষ্টতার অপবাদ দিতে পারবনা। অতএব, তোমার কাছে যদি চাইতেই হয়, চাই এমন কিছু যা মানুষকে বঁচিয়ে রাখে, মরণের পথে ঠেলে দেয়না। ডাল ভাত, মেঠাই, মগু, ৰ্চিড়ে মুড়ি যা হোক দাও, আমি খেয়ে বঁচি 1 নেই ? [। ষোড়শী নির্নিমেষ চক্ষে চাহিয়া রহিল ] জীবানন্দ । আজ সকালে মন ভাল ছিলনা । শরীরের কথা তোলা বিড়ম্বনা, কারণ, সুস্থদেহ যে কি আমি জানিনে ! সকালে হঠাৎ নদীর তীরে বেরিয়ে পড়লাম, কত যে হঁটেলাম বলতে পারিনে,-ফিরতে ইচ্ছেন্থ হালনা । সুৰ্য্যদেব অস্ত গেলেন, একলা জলের ধারে দাড়িয়ে কি যে ভাল লাগল বলতে পারিনে। কেবল তোমাকে মনে পড়তে লাগলো। মনে পড়লো আমার কাছারি বাড়ীতে এতক্ষণে লোক জমেছে,-তোমাকে নিৰ্বাসনে পাঠাবার ব্যবস্থাটা আজি শেষ করাই চাই। ফিরে এসে সভায় যোগ দিলাম, কিন্তু টিকৃতে পারলামনা। একটা ছুতো করে পালিয়ে এসে দাড়ালাম ওই মনসা গাছটার পিছনে । ষোড়শী । তার পরে ? জীবানন্দ। দেখি, দাড়িয়ে সাগর সর্দার এবং তুমি। আলাপ আলোচনা সমস্তই কানে গেল, তাৎপৰ্য্য গ্ৰহণ করতেও বিলম্ব হালনা । ভাবলাম, আমাদের মত সাধু ব্যক্তিরা যে এহেন নিৰ্বোধ ভৈরবীকে দূর করে দিতে চেয়েছে সে ঠিকই হয়েছে। সে রাত্রে বাড়ী ঘেরাও করে পুলিশ পিয়াদা হাত-কড়া নিয়ে হাজির, সামান্য একটা মুখের কথার জন্য Գ8