পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তালি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, હારે বুড়ে বয়সে, ম রবার পূৰ্ব্বে এই উপলক্ষে মনোহর চাটুৰ্য্যেকে আবার একটু ভাল করে শিক্ষা দিয়ে যেতে পারব।” মানদা পাশ্বের ঘরে এতক্ষণ ছিলেন । সিদ্ধেশ্বর ধীরে ধীরে তাহার মাতার সহিত কথা বলিয়াছিলেন ; মানদী তথন মোটেই কিছু শুনিতে পান নাই। রমামুন্দরীও প্রথমে ধীর ভাবেই কথা বলিয়াছিলেন ; কিন্তু তিনি ক্রমে যত উত্তেজিত হইতে লাগিলেন, তাহার স্বরও উচ্চ হইতে লাগিল ; মানদা তাহার শেষের কথাগুলি সমস্তই শুনিলেন। র্তাহাকে আশ্রয় দিয়া এই দয়ালু পরিবার যে বিপদ ডাকিয়া আনিয়াছেন, তাহ আংশিক ভাবে তিনি পূৰ্ব্বেই বুঝিতে পারিয়াছিলেন ; কিন্তু সে বিপদ যে এমন ভয়ঙ্কর মূৰ্ত্তি ধারণ করিবে, দুই সরিকের বিবাদাগ্নি এমন প্রচণ্ডভাবে প্রজ্জলিত হইয়া উঠিবে, এতদূর তিনি ভাবিয়া উঠিতে পারেন নাই। অনুতাপ উপস্থিত হইল। কেন তিনি ইহাদের আশ্রয় গ্রহণ করি। এই সাধু পরিবারকে বিপন্ন করলেন। তিনি আর স্থির থাকিতে পারিলেন না ; ধীরপদবিক্ষেপে ঘর হইতে বাহির হইয়া, ন্ধে কক্ষে মাতাপুত্রের কথোপকথন হুইতেছিল, সেট কক্ষে প্রবেশ করিলেন। রমাসুন্দরীর বক্তব্য তখন শেষ হইয়াছে। সিদ্ধেশ্বর যেন কি বলিতে ঘাড়তেছিলেন, এমন সময় মানদ। প্রবেশ করিয়া কহিলেন “দিদি ! তোমাদের সকল কথা আমি শুনতে পাই নাই, কিন্তু তুমি শেষে যে কথা গুলো বললে, তাতে বেশ বুঝতে পারলাম,